বিকল সাব মার্সিবলের মিটার বক্স —নিজস্ব চিত্র
গোঘাটের আগাই গ্রামের বাসিন্দা সহদেব পরামাণিকের দাবি, তাঁর সাব মার্সিবল পাম্পের মিটার খারাপ হয়ে যায় ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। বেশ কয়েক বার আবেদন করার পরে ওই বছরের শেষ নাগাদ নতুন মিটার পাওয়া যায়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে, এই দাবি করে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সাব মার্সিবলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। তারপর থেকে সাব মার্সিবলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অথচ প্রত্যেক মাসে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল তাঁর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সহদেবের। সহদেবের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের গোঘাটের কামারপুকুর শাখা, আরামবাগ ডিভিশনাল অফিস এবং সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। উল্টে, বিদ্যুৎ দফতরের কামারপুকুর শাখার তরফে মিটার পাল্টানোর জন্য ৩৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে তাঁর থেকে। তিনি জানান, এই ‘অন্যায়’ দাবি তিনি মানিনি। তারপর থেকেই যথেচ্ছ বিল পাঠানো হচ্ছে। সহদেবের অভিযোগ, ‘‘ এখনও লাইন জোড়া হয়নি। তবুও বিল এসেই যাচ্ছে।’’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ দফতরের কামারপুকুর শাখার স্টেশন ম্যানেজার বৃন্দাবন কর্মকার বলেন, “বিলের জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তাঁকে তাঁর বকেয়া বিল মেটাতে বলা হয়েছিল। তাঁর খারাপ মিটারও বদলানো হয়েছে।” বৃন্দাবনবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওই গ্রাহক বিদ্যুৎ চুরি করে সাব মার্সিবল পাম্প চালাতেন। নিজেই মিটার খারাপ করছেন। হুকিং করে পাম্প চালাতে গিয়ে কয়েকবার হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিদ্যুৎ চুরি করে পাম্প চালানোর জন্যই তিনি আর বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাইছেন না। সমস্ত বিষয়টি দফতরে জানিয়েছি।” বিদ্যুৎ দফতরের কর্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহদেব। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এই অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে ওরা।’’