তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলীয় সদস্যদেরই একাংশ। প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর।
জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১১। তার মধ্যে তৃণমূলের ছিলেন ৮ জন সদস্য। পরে একজন মারা যাওয়ায় সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭-এ। অন্য দিকে সিপিএমের ২ জন ও কংগ্রেসের ১ জন সদস্য আছেন। গত ২১ নভেম্বর তৃণমূলের ৫, সিপিএমের ২ ও কংগ্রেসের ১ জন সদস্য বিডিওর কাছে গিয়ে প্রধান মিতা দাস এবং উপপ্রধান কেশব বেজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বরূপ হাজরার অভিযোগ, ‘‘প্রধান এবং উপপ্রধান দুর্নীতিকে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে অনস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, প্রধান মিতা দাস এবং উপপ্রধান কেশব বেজ। কেশববাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘সিপিএম সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন স্বরূপবাবুরা।’’ স্বরূপবাবুর দাবি, সিপিএমের যে দু’জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন, তাঁরা অনেকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তবে এই অবস্থা প্রস্তাবকে ভাল চোখে দেখছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ভোট দেন, তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতেও তাঁকে আর টিকিট দেওয়া হবে না।’’