মামার বাড়িতে অপমৃত্যু বালকের, খুনের অভিযোগ

মৃতের মা-বাবা এ কথা মানতে নারাজ। মামাবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। পুলিশ ওই ছাত্রের মামা, মামি, মাসি ও মেসোকে আটক করেছে। এ দিন ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

শান্তনু রুইদাস

ছেলে ভাল করে পড়াশোনা করবে, এমনটাই ইচ্ছা ছিল তার বাবা-মায়ের। তাই গ্রামের বাড়ি থেকে বছর বারোর ছেলেটি ছ’মাস আগে চলে এসেছিল মামার বাড়িতে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে তার বাবা-মা জানলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শান্তনু রুইদাস। তার মামার দাবি, পড়াশোনায় অমনোযোগী বলে শাসন করা হয়েছিল শান্তনুকে। তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে সে।

Advertisement

মৃতের মা-বাবা এ কথা মানতে নারাজ। মামাবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। পুলিশ ওই ছাত্রের মামা, মামি, মাসি ও মেসোকে আটক করেছে। এ দিন ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরায়।

আমতার ধীরেন ও ঝর্না রুইদাসের ছেলে শান্তনু। এ দিন তার মামা বিশ্বজিৎ রুইদাস বলেন, ‘‘ওকে নিজের ছেলের মতোই ভালবাসতাম। ঠিক মতো পড়াশোনা করত না বলে অল্প বকাবকি করি। তার জন্য যে এমন ঘটবে, ভাবিনি।’’

Advertisement

শান্তনুর মামাবাড়ি সূত্রের খবর, এ দিন পরীক্ষা থাকলেও স্কুলে যেতে না চাওয়ায় শান্তনুকে বকাবকি করেন মাসি যমুনা বেরা। তিনিই ফোন করে দিদি ঝর্নাকে জানান, শান্তনু পড়াশোনা করছে না বলে তাকে মারধর করেছেন। পড়শিদের অভিযোগ, মামি কল্পনাও শান্তনুকে মারধর করেন। এর পরেই বেলা ১২টা নাগাদ শৌচাগারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় শান্তনু। পরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, শান্তনুকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল মৃত ঘোষণা করে। ধীরেনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’

মনোবিদ অনিরুদ্ধ দেব বলেন, ‘‘ছেলেটির অন্য কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা-ও খোঁজ করে দেখতে হবে। হয়তো তার জন্যই পড়াশোনাতেও সমস্যা হচ্ছিল। সেই অজানা সমস্যা থেকে আত্মহত্যার প্রবণতাও তৈরি হতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement