ফাইল চিত্র।
গোঘাটের দু’টি ব্লকে অন্তত ১৩টি প্রাচীন মন্দির এবং পাঁচটি মাজার রয়েছে। যেগুলি অবহেলিত, ভগ্নদশা। এলাকার মানুষ ওই সব প্রাচীন স্থাপত্য সংস্কারের দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ বার সেই সংস্কারের দাবি বিধানসভা অধিবেশনে তুললেন স্থানীয় বিধায়ক মানস মজুমদার।
গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মানসবাবুর ওই দাবি নিয়ে পর্যটন দফতর জানায়, জেলা স্তর থেকে প্রস্তাব এলে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা বিবেচনা করা হবে। বিধায়ক বলেন, ‘‘গোঘাটে ২০০ থেকে ৫০০ বছরের প্রাচীন মন্দির এবং মাজারগুলি বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ এবং ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। সেগুলির সঙ্গে স্থানীয় মানুষের ভাবাবেগ জড়িত। সেগুলি সংস্কার হলে গোঘাট পর্যটন মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে নিতে পারবে।”
গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জের রাউত পরিবারের প্রাচীন দুর্গা মন্দিরটি বিষ্ণুপুরের জোড়বাংলোর আদলে নির্মিত। ওই মন্দিরের মাথায় আবার ছোট নবরত্ন মন্দির রয়েছে। মন্দিরের দেওয়ালে রামায়ণ, মহাভারত-সহ নানা পৌরাণিক, সামাজিক, ঐতিহাসিক এবং লৌকিক আখ্যানের ফলক বসানো রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোঘাটের প্রাচীন মন্দিরগুলির অধিকাংশেরই স্থাপত্যের ধরন বিরল। ওই স্থাপত্য-কীর্তির কাজগুলি বজায় রেখে অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার।
শুধু ওই মন্দিরই নয়, বিধানসভায় মানসবাবু বদনগঞ্জ-ফলুইয়ের শৈলেশ্বর শিবমন্দির, কৃষ্ণগঞ্জের পরমেশ্বর শিবমন্দির, হরিসভায় মানিক রাজার শিবমন্দির, শ্রীপুর হাটতলায় বিষ্ণুমন্দির, পাইনদের বিষ্ণুমন্দির, কামারপুকুর শান্তিনাথ শিবমন্দির, ছোটো ডোঙ্গল কালী মন্দির, লক্ষ্মীপুর কালীমন্দির, ভাদুরের মকদম পিরবাবার মাজার, হাজিপুর দেবখণ্ডের বড় আস্তানা, সৈয়দ শাহ ইসমাইল গাজির বড় আস্তানা, ইসমাইল গাজি গঞ্জ লস্কর ছোট আস্তানা, শকুন জলা মাজার প্রভৃতির উল্লেখ করেন। পরে তিনি জানান, ওই সব স্থাপত্য সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালেও পর্যটন দফতরে একদফা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছি। ফের পাঠানো হবে।