Golabari Police station

৮২ লক্ষের সোনা চুরি, মোবাইলের সূত্রে গ্রেফতার অভিযুক্ত

আদালত সূত্রের খবর, ধৃত দীপককে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের এসিএমএম (১) মনোদীপ দাশগুপ্তের এজলাসে তোলা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০২:১১
Share:

—প্রতীকী ছবি

প্রায় ৮২ লক্ষ টাকার সোনা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দীপককুমার মাল্য। তার বাড়ি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকায়। শুক্রবার রাতে দীপককে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করেন পোস্তা থানার তদন্তকারী অফিসারেরা।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, ধৃত দীপককে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের এসিএমএম (১) মনোদীপ দাশগুপ্তের এজলাসে তোলা হয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদের খুঁজে বার করতে এবং হাতিয়ে নেওয়া সোনা উদ্ধারের জন্য ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান সরকারি কৌঁসুলি। বিচারক ধৃতকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

তদন্তকারীরা জানান, গত মাসে পোস্তা থানা এলাকার হাঁসপুকুরিয়া লেনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নন্দকিশোর সুলতানিয়া আদালতের মাধ্যমে পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগে জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে দীপক-সহ তিন জনকে তিনি প্রায় ২০১৩ গ্রাম সোনা দিয়েছিলেন গয়না বানিয়ে দেওয়ার জন্য। যার বাজারদর প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানায়, এর পরেই লকডাউন শুরু হয়ে গেলে দু’পক্ষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আনলক-পর্বে নন্দকিশোর ওই অভিযুক্তদের কাছে সোনা ফেরত চাইলে তারা ‘দিচ্ছি দেব’ করতে থাকে। ডিসেম্বর পর্যন্ত নন্দকিশোরকে নানা রকম অজুহাত দিতে থাকে দীপকেরা। এর পরেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে পোস্তা থানা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, নন্দকিশোর অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সোনা নিয়ে এসে দীপকদের মাধ্যমে বিভিন্ন কারিগরের কাছে তা গয়না বানানোর জন্য পাঠাতেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত দীপককে ডেকে পাঠালেও তারা হাজির হয়নি। এর পরেই মোবাইল ফোনের টাওয়ারের অবস্থান ধরে তাদের হদিস পায় পুলিশ। শুক্রবার হাওড়ায় হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পোস্তা থানার একটি দল।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় ধৃত দীপক ছাড়া আরও দু’জনের নাম রয়েছে এফআইআরে। যাদের সঙ্গে পারিবারিক যোগ রয়েছে দীপকের। ধৃতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সোনা তারা কোথায় রেখেছে বা বিক্রি করে দিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement