দিলীপ খুনে দুষ্কৃতী গ্রেফতার নাগপুরে

চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রের দাবি, দিলীপ খুন হওয়ার পর থেকেই ব্যান্ডেলেরই বাসিন্দা আকবর গা-ঢাকা দিয়েছিল। তদন্তে ওই ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র পাওয়া যায়। এর পরেই পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

চার মাস আগে ব্যান্ডেলের তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে খুনের এক অভিযুক্তকে নাগপুর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ আকবর। তাকে নিয়ে এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চার। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, ‘সুপারি কিলার’ নিয়োগ করে দিলীপকে খুন করা হয়। আকবরের মাধ্যমেই ওই ভাড়াটে খুনিদের নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশ যাকে ঘটনার ‘মূল মাথা’ বলে দাবি করছে, সেই শকুন্তলা যাদব ওরফে সমুদ্রি এখনও অধরা।

Advertisement

চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রের দাবি, দিলীপ খুন হওয়ার পর থেকেই ব্যান্ডেলেরই বাসিন্দা আকবর গা-ঢাকা দিয়েছিল। তদন্তে ওই ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র পাওয়া যায়। এর পরেই পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে দিন কয়েক আগে নাগপুরে ডেরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রানজিট রিম্যান্ডে তাকে চুঁচুড়ায় আনা হয়। শনিবার এখানকার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৯ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তকারীদের অনুমান, আকবর গ্রেফতার হওয়ায় ওই খুনের ঘটনায় অন্য জড়িতদের ধরা সহজ হবে। সে ক্ষেত্রে মমলার জাল আরও গুটিয়ে ফেলা যাবে। কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অধরা অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

গত ২৯ জুন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন দিলীপ। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার মুখে রেল লাইনের উপরেই দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে খুন করে। প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যান্ডেল স্টেশনের মতো ব্যস্ত জায়গায় ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। মৃতের পরিবারের লোকজন এবং তৃণমূলের তরফে সেই সময় দাবি করা হয়, বিজেপির লোকজন দিলীপকে খুন করেছে। নিহতের স্ত্রী তথা ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান রিতু সিংহ স্থানীয় তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। তাঁদের মধ্যে এক জন আত্মসমর্পণ করেন। এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

Advertisement

চন্দননগর কমিশনারেটের দাবি, তদন্তে দেখা যায় ব্যান্ডেলেরই বাসিন্দা শকুন্তলার সঙ্গে জমি বিবাদে দিলীপ খুন হয়েছেন। তাঁকে মারতে শকুন্তলা সুপারি কিলার লাগায়। দু’মাস আগে শকুন্তলার ছেলে মঙ্গল যাদব সহ-তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। আকবরের নামও সামনে আসে।

পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, এফআইআর-এ নাম থাকা যে দু’জনকে প্রথমে ধরা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে ঘটনার কোনও যোগ নেই। আদালত তাঁদের মুক্তি দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement