সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছেন সাবির। —নিজস্ব চিত্র।
সোমবার নাম ঘোষণা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বাম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লা। সে প্রচারে তাঁর তুরুপের তাস বামেদের পুরনো পন্থা। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে কুপন কেটে অর্থ সংগ্রহ করছেন তিনি। বলছেন, ‘‘আমাদের তো নারদ, সারদা নেই। আপনারাই ভরসা।’’ আর আছে বহিরাগত তত্ত্ব।
সাবিরুদ্দিন উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রথম দিনে নিজের ওয়ার্ডে জনা ৩০ কর্মী নিয়ে প্রচার শুরু করলেন। ১০ ও ২০ টাকার ছাপানো কুপন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন। তাঁর দাবি, ‘‘বামফ্রন্ট নির্বাচনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েই খরচ করে। তাঁদের অর্থে ভরসা করেই আমরা নির্বাচনে খরচ করি।’’ পাশাপাশি সাবিরুদ্দিন বলছেন, তিনি এলাকার মানুষ। এলাকার কাউন্সিলর। বিপক্ষে দাঁড়ানো তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি কলকাতার বাসিন্দা। ফলে ইদ্রিশ জিতলে যে আগের দু’বারের মতোই তাঁকে আর এলাকায় পাওয়া যাবে না— তাই বলছেন সাবির।
এর আগে সাবিরের হারের রেকর্ড চলছে ২০১৪ সাল থেকে। সে বার লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সুলতান আহমেদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান তৃণমূলের প্রার্থী হায়দর আজিজ সফির কাছে। ২০১৮ সালে সুলতান আহমেদের মৃত্যুর পর লোকসভা উপ-নির্বাচনে সাবির ফের হারেন সুলতানের স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের কাছে। শুধু তাই নয়, সে বার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতেও ব্যর্থ হয় বামেরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে পুরসভা ভোটে গত দু’বার জিতেছেন সাবিরুদ্দিন। তৃণমূলের পুরসভায় তিনিই বিরোধী দলনেতা। উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ড এবং রঘুদেবপুর অঞ্চল ও খলিশানি অঞ্চল নিয়ে গঠিত উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভাকেন্দ্র। এলাকায় পরিচিত সাবিরুদ্দিন মোল্লা। তাঁর ভূমিপুত্র পরিচয়ই তাঁর প্রধান অস্ত্র। সেই জোরেই আশা রাখছেন বছর চল্লিশের যুবনেতা।