বৃষ্টিতেও রোড-শো

সকালে শ্রীরামপুরের তৃণমূ‌ল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁপদানির পলতাঘাট থেকে মিছিল করেন। গন্তব্য ছিল নওগাঁ। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেওড়াফুলির বৌবাজারে যখন মিছিল থামল, তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া ও উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ০১:২৮
Share:

অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় ও নয়না গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রচারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব িচত্র

সোমবার ভোট। আইপিএলের ভরা মরসুমে দুই জেলাতেই প্রচারের ‘স্লগ-ওভার’ চলছে। আজ, শনিবার বিকেলেই প্রচার শেষ। তার আগে শুক্রবার ‘ফণী’র প্রভাব সত্ত্বেও হুগলিতে অনেকেই কার্যত চালিয়ে খেললেন। কিন্তু প্রচার থমকাল হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়।

Advertisement

সকালে শ্রীরামপুরের তৃণমূ‌ল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁপদানির পলতাঘাট থেকে মিছিল করেন। গন্তব্য ছিল নওগাঁ। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেওড়াফুলির বৌবাজারে যখন মিছিল থামল, তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। বিকেলে উত্তরপাড়া থেকে ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা পর্যন্ত রোড-শোতে ছিল কয়েকশো মোটরবাইক। কল্যাণের সঙ্গে হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় এবং নয়না গঙ্গোপাধ্যায়। তখনও টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে।

শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পূর্ব নির্ধারিত রোড-শো বাতিল হলেও দলের প্রার্থী দেবজিৎ সরকার বসে ছিলেন না। বৃষ্টিতেও টানা প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। ছাতার নীচে পথসভাও করেন তিনি। সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়ও দিনভর চষেছেন। সকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শ্রীরামপুরের জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ী রোডে হরিজন পল্লিতে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। বিকেলে উত্তরপাড়ায় তাঁর সমর্থনে জনসভা হয়।

Advertisement

হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতেও সকালে ধনেখালি এবং পোলবা-দাদপুরে প্রচার করেন। সাটিথান গ্রামে আদিবাসীদের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে সেখানেও যান এই অভিনেত্রী-প্রার্থী। বর-কনের সঙ্গে ছবিও তোলেন। বিকেলে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী প্রতুলচন্দ্র সাহার সমর্থনে সভা করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা গৌরব গগৈ এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা চাঁপদানির বিধায়ক আব্দুল মান্নান। তবে জিরাটের বাসিন্দা প্রতু‌লবাবু সকালের দিকে সেখানে হেঁটে জনসংযোগে বের হলেও বৃষ্টির চোটে রণে ভঙ্গ দেন।

বিকেলে ধনেখালিতে প্রচার বাতিল করেন তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। সকালে তিনি বাঁশবেড়িয়া এবং চন্দ্রহাটিতে জনসংযোগ করেন। ফণীর জন্য পান্ডুয়ার বিভিন্ন জায়গায় দলের সভা বাতিল করতে হয় ব‌লে জানান হল বিজেপির জেলা সদস্য দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী। সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ সাহা সকালে রোড-শো করেন। বিকেলে তেমন জোরালো কর্মসূচি ছিল না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় কর্মীদের বলা হয়েছে, ঝুঁকি না-নিতে।’’

আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার বিকেলে কোনও কর্মসূচি রাখেননি। বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না-করে বিজেপি প্রার্থী তপন রায় বিভিন্ন জায়গায় চক্কর কাটেন। সিপিএম প্রার্থী শক্তিমোহন মালিকও সকালে জনসংযোগে বের হন।

কিন্তু ফণীর কারণে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সাজদা আহমেদ এবং উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ইদ্রিশ আলির সমর্থনে ওটি রোডে তৃণমূলের মহামিছিল বাতিল হয়ে যায়। দলের হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি পুলক রায়ের গলায় আফসোস, ‘‘কী আর করা যাবে! প্রকৃতির সঙ্গে তো আর লড়াই করা যাবে না।’’

সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ায় উদয়নারায়ণপুরে সিপিএম পদযাত্রার দফারফা হয়ে যায়। কর্মী-সমর্থকেরা আশ্রয় নেন দলীয় কার্যালয়ে। ঘণ্টাখানেক পরে বৃষ্টি থামলেও আর পদযাত্রা হয়নি। ফণীর জন্য প্রচারে বিস্তর কাটছাঁট করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সোমা রানিশ্রী রায়ও। উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লা আটটি পথসভা বাতিল করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement