বাস বন্ধ থাকায় অবসরে বাসকর্মীরা। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে। ছবি: তাপস ঘোষ
হুগলি থেকে সরকারি বাসে যাত্রী পরিষেবা চালু হলেও বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামল না বেসরকারি বাস। হুগলির আরটিও সোমনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,‘‘এ দিন জেলার চারটি মহকুমায় মোট পাঁচটি রুটের অল্প কয়েকটি বাস চলেছে। তবে আমি আশা করছি, আজ, শুক্রবার থেকে বেশি সংখ্যায় বেসরকারি বাস চলবে।’’
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে যানবাহন দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। তার ফলে যাত্রী পরিষেবায় ট্রেন, বাস, অটো, টোটো সব ধরনের যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় বিধি মেনে যাত্রী পরিষেবায় সরকারি বাস চলাচল শুরু হয় চুঁচুড়া থেকে। চালু হয়েছে কিছু সরকারি ও বেসরকারি দফতর। কিন্তু বাস কম থাকায় কর্মীরা কর্মস্থলে ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রতি হুগলির চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্য্যন্ত দুটি বাস চালু হয়। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় বাস কম থাকায় অনেকেই গন্তব্যে যেতে পারেননি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বেসরকারি বাস চালু না হওয়ার পিছনে মালিকদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বাস না চলায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দিন বাস নামেনি। বাসকর্মীদের দাবি, এতদিন বাস না চলায় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। সংসার চালানোর তাগিদে, বহু অস্থায়ী বাসকর্মী অন্য পথে রোজগারে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
হুগলি জেলা বাস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক দেবব্রত ভৌমিক জানান, ‘‘আগামী সোমবার থেকে বাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরনো ভাড়ার কিছু সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।’’
এ দিন আরামবাগ মহকুমায় বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। কেবল আরামবাগ থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত দুটি চলেছে। তার মধ্যে একটি গাড়ির রুট বাঁকুড়া থেকে হলেও আরামবাগ থেকেই ছাড়া হয়। কলকাতার করুণাময়ী একট দূরপাল্লার বাস সংগঠনের সম্পাদক গৌতম ধোলে বলেন, ‘‘তারকেশ্বর থেকে করুণময়ী রুটে বাস বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তাছাড়া বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর, কোতলপুর-তারকেশ্বর সহ আরও কিছু বাস চালানোরও পরিকল্পনা নিয়েছি।”