শুনশান রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট। — নিজস্ব চিত্র
বিষ্ণু মাল খুনে মূল অভিযুক্ত বিশাল দাসের ফাঁসির দাবিতে সোমবার চুঁচুড়ার কামারপাড়া রায়বেড়ে বন্ধ পালন করলেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। একই দাবিতে এ দিন চুঁচুড়া থানার সামনে বিষ্ণুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ।
গত ১০ অক্টোবর রায়বেড়ের বাসিন্দা বিষ্ণুকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতী। সেই রাতেই তাঁকে হত্যা করে দেহ ছ’টুকরো করে তারা। তারপর দেহাংশ ফেলা হয় বিভিন্ন জায়গায়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাসকে গত ১০ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে ধরা পড়েছিল বিশালের কয়েক জন সঙ্গী।
বিশালের ফাঁসির দাবিতে কামারপাড়া অঞ্চলে বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। এ দিন বিষ্ণুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চুঁচুড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। কামারপাড়া এলাকার ওষুধের দোকানও বন্ধ ছিল। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সোমবার বিশালকে আদালতে তোলার কথা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভের আশঙ্কায় এ দিন বিশালকে আদালতে হাজির করানো হয়নি। সেই কাজ হয় ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে। বিচারক তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ‘‘এক জন নিরীহ যুবককে যে কায়দায় নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা সদর শহরের বুকে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য কয়েক ঘণ্টা ব্যবসা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এ দিন।’’ বিষ্ণুর বোন কাজল মাল বলেন, ‘‘দাদা আর কোনও দিন ফিরবে না। কিন্তু এই ধরনের নৃশংসতার প্রতিবাদে বিশাল-সহ সব দোষীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি আমরা।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয়, সেই লক্ষ্যেই সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে যাতে কোনও ফাঁক না-থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।’’