বনধের সমর্থনে বামেদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
আগামী ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে রবিবার হাওড়ায় মিছিল করল সিপিএম-সহ বাম ও সহযোগী দলগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ডাকা এই ভারত বনধ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিরোধিতা করায় তার সমালোচনাও করা হয়েছে সিপিএমের তরফে।
অতিমারির জন্য সব গরিব পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান, করোনার বিনামূল্যে চিকিৎসা, বেকারদের চাকরি, প্রত্যেকের জন্য নূন্যতম ১০ কেজি রেশন এবং নারী নিরাপত্তা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে এই ধর্মঘট ডেকেছে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন এবং সারা ভারত কিষাণ কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ ১০টি শ্রমিক সংগঠন। ধর্মঘটকে সফল করার লক্ষ্যে রবিবার সকালে হাওড়ার বালিখাল থেকে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত মিছিল হয়।
ধর্মঘটের বিরোধিতা করার জন্য রবিবার মিছিলের শেষে তৃণমূলের সমালোচনা করেন সিপিএম নেতা শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। তাই তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করবে। কিন্ত সাধারণ মানুষের সমর্থন এই ধর্মঘট সফল করবেই।’’
এদিকে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় ধর্মঘট প্রসঙ্গে বলেন, “সিপিএম আগে প্রত্যেক বছরে দুটো করে বন্ধ ডাকত। এটা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পড়ে।” তিনি আরও বলেন, “অতিমারির সময় গোটা দেশ আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন যদি ধর্মঘট হয় তবে গরিবের রুটিরুজি মার খাবে। তাই আমরা এই বনধের বিরোধিতা করছি।” অরূপ পাল্টা সিপিএম-বিজেপি গোপন আঁতাতের অভিযোগও তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, দুই দলের বোঝাপড়াতেই গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভোট কমেছে এবং বিজেপির ভোট বেড়েছে।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য উমেশ রাইয়ের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার গরিবের স্বার্থে যে নীতি নিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের উপকারই হবে। বামেরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, ধর্মঘট ডেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এতে লাভ কিছু হবে না।