চলতি মাসের ৭ তারিখে উত্তরপাড়ার মনমোহন উদ্যানে (সিএ মাঠ) প্রকাশ্য সমাবেশ দিয়েই এ বার হুগলি জেলায় সিপিএমের ২৩ তম সম্মেলন শুরু হচ্ছে। প্রকাশ্য সমাবেশের পর উত্তরপাড়া ৮ জানুয়ারি থেকে গণভবনে তিন দিনের প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলন চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
দলীয় সম্মেলনে সদস্য ছাড়া সাধারণের প্রবেশাধিকার থাকে না। সেটাই রীতি। সেই দিক থেকে এ বারের সম্মেলন কিছুটা হলেও প্রথা বিরুদ্ধ। কারণ হুগলিতে সিপিএমের সম্মেলন শুরুই হচ্ছে প্রকাশ্য সমাবেশ দিয়ে। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
এর আগে ২০১৫ সালে হুগলি জেলা সম্মেলন হয়েছিল চন্দননগরে। প্রথা অনুয়ায়ী তিন দিনের প্রতিনিধি সম্মেলনের শেষে প্রকাশ্য সম্মেলন হওয়ার কথা। এমন বদল নিয়ে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘প্রকাশ্য সমাবেশ দিয়ে সম্মেলন শুরুর নেপথ্যে কোনও রহস্য নেই। আমাদের সময়মতো উত্তরপাড়া গণভবন ফাঁকা পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এ বার প্রকাশ্য সমাবেশ আগে করা হচ্ছে। তারপর শুরু হবে প্রতিনিধি সম্মেলন।’’
বাম দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর সম্মেলন হয়। সিপিএম সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া গণভবনে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এ বার অন্তত সাড়ে ছয়শো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বার দর্শক হিসেবে পার্টি সদস্যরাও থাকবেন। এতদিন ব্রাঞ্চ কমিটি, লোকাল, জোনাল এবং জেলা কমিটিতে বিভক্ত ছিল প্রতিটি জেলা কমিটি। কিন্তু এখন ব্রাঞ্চ, এরিয়া এবং জেলা কমিটি এই তিনটি স্তরেই ভাগ থাকছে। ফলে এতদিন যাঁরা দলের নানা স্তরে দায়িত্বে ছিলেন এ বারের সম্মেলনে দলীয় গঠনতন্ত্রের নিরিখে সংখ্যা কম হওয়ার কথা। দলীয় সূত্রের খবর, সেই কারণেই সম্মেলন ঘিরে এ বার ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। কারণ যাঁরা বাদ পড়বেন তাঁদের ক্ষোভের একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।