Fire Brigade

জীবাণুনাশক বাড়ন্ত, নিধিরাম দমকল

আরামবাগ দমকল বিভাগের ওসি শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, গত মার্চে এককালীন ৫০ লিটার সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিলেছিল।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

সরকারি নির্দেশিকা বলছে, পুজো মণ্ডপ নিয়মিত স্যানিটাইজ় করতে হবে। কিন্তু আরামবাগে দমকল সেই কাজ করবে কী ভাবে? তাদের কাছে জীবাণুনাশক সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ বাড়ন্ত। আরামবাগ মহকুমায় গত বছর পুজোর অনুমোদন পেয়েছিল ২০৯টি কমিটি। এ বার পেয়েছে ৫২৬টি। অর্থাৎ, অতিমারিতেও পুজোর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। সেই সব মণ্ডপ স্যানিটাইজ় করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাক পড়ছে দমকলের। কিন্তু দমকল নিধিরাম। বুধবার আরামবাগ শহরের ৪১টি মণ্ডপের মধ্যে ১২টি স্যানিটাইজ় করেই রণে ভঙ্গ দেয় তারা।

Advertisement

আরামবাগ দমকল বিভাগের ওসি শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, গত মার্চে এককালীন ৫০ লিটার সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিলেছিল। জুলাই মাসেই শেষ হয়ে যায়। তারপর থেকে দফায় দফায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালেও তা মেলেনি। তিনি বলেন, “সম্প্রতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দফতরের বর্ধমান ডিপো থেকে ৫ লিটার জোগাড় করেছিলাম। তারও শেষ বিন্দু খরচ হয়ে গেল বুধবার। ওই দিনই মহকুমা প্রশাসন থেকে গোঘাটের কয়েকটি মণ্ডপ স্যানিটাইজ় করতে বলা হয়। জীবাণুনাশক সরবরাহ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছি।” সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট সরবারহের ঘাটতি নিয়ে দমকল বিভাগের জেলা আধিকারিক তপন বসু বলেন, “আমার কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট নেই। এলে দেখে নেব।”

মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘হতে পারে সরবরাহ নেই। কিন্তু প্রশাসনের যে দফতর যখন দমকলকে ডাকছে, তখন সেই দফতরই সোড়িয়াম হাইপোক্লোরাইটের ব্যবস্থা করছে। হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই দিচ্ছেন। পুজো কমিটিগুলোরও ওই দ্রবণ সংগ্রহ করার কথা। তাই দমকলের সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট না থাকলেও স্যানিটাইজ় করা আটকাচ্ছে না। তা ছাড়া পুজো কমিটিগুলিকে অনুমতির শর্তেই রয়েছে, নিয়মিত স্যানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা করার। তা মানা হচ্ছে কিনা, দেখা হচ্ছে।”দমকল বিভাগের দাবি, হাসপাতাল ছাড়া ওই দ্রবণ বিশেষ কোথাও তাঁরা পাননি। নিজেদের সরবরাহ থেকেই বরাবর দিতে হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিরও সরকারি অনুদানের ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট কেনার কথা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুজো কমিটির থেকে ওই দ্রবণ মিলছে না বলে এক দমকল-কর্তার দাবি। জীবাণুনাশের জন্য হাজার লিটার জলে ১ লিটার সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট, ৫ লিটার ফিনাইল, ৫০০ লিটার ডেটল বা বিটাডাইন মিশিয়ে সেই মিশ্রণ স্প্রে করে থাকে দমকল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement