দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মিলে যড়যন্ত্র করার অভিযোগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের (আইএনটিটিইউসি) এক নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুদাম দাস। তিনি শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন ফলপট্টির আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত সংগঠনের সম্পাদক। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুকদেব হালদার নামে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। তাকে জেরা করে এবং অন্য জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শ্রীরামপুর শহরে জমি কেনাবেচা করে এক যুবককে খুনের ছক কষেছিল দুষ্কৃতী যিশু। সুদাম আগাগোড়া সেই পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল। তার কাজ ছিল, যাঁকে খুন করা হবে তাঁর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে দুষ্কৃতীদের জানানো। তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সুদামের মেলামেশা ছিল। দুষ্কৃতীরা জেলে থাকলে এলাকার সব খবর তাদের সরবরাহ করেন সুদাম।’’
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল শিবিরের খবর, সুদাম শ্রীরামপুরের দীর্ঘদিনের এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ওই নেতার সৌজন্যে শ্রীরামপুর পুরসভায় সাফাইকর্মীদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ পেয়ে যান। যদিও তিনি অস্থায়ী সুপারভাইজার ছিলেন। এর আগেও দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মেলামেশার কারণে পুলিশ সুদামকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু ওই নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় তাঁর গায়ে তেমন আঁচ পড়েনি বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘সুদামের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র হুগলি জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত বলেন, ‘‘সংগঠন আইনের থেকে বড় নয়।’’ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদবও বলেন, ‘‘আইন বহির্ভূত কোনও কাজ আমাদের দল অনুমোদন করে না। আইন আইনের পথেই চলবে।’’