প্রতীকী ছবি।
শাশুড়ি বলেছিলেন, পুত্রবধূ কুটুম বাড়ি গিয়েছে। কিন্তু ঘরে ঢুকে পুলিশ এবং চাইল্ড লাউনের লোকেরা দেখলেন, চৌকির তলায় চুপটি করে বসে আছে বালিকা বধূ। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পাঠানো হল হোমে। বৃহস্পতিবার হুগলির খানাকুলের ঘটনা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-১ পঞ্চায়েতের এক যুবক দিন কয়েক আগে এক নাবালিকাকে বিয়ে করে এনেছেন বলে চাইল্ড লাইনে খবর পৌঁছয়। স্থানীয় বিডিও দফতরের সহায়তায় চাইল্ড লাইন, থানা এবং হুগলি জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (ডালসা) প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার ওই যুবকের বাড়িতে যান। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায়, ছেলেটি সেখানেই ছিলেন। তার পরে মেয়েটিকে চৌকির তলা থেকে বের করা হয়। নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ছেলেটির বয়স একুশ বছর। আর মেয়েটি তেরো।
প্রশাসনের দলটি ওই বালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে খানাকুল থানায় নিয়ে যায়। তার পরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডব্লিউসি) নির্দেশে তাকে জাঙ্গিপাড়ার বাগান্ডা এলাকার একটি হোমে পাঠানো হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ছেলেটি রাজমিস্ত্র্র কাজ করেন। মেয়েটির বাড়ি আরামবাগের গৌরহাটী বাজার এলাকায়। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। লক্ষ্মীপুজোর সময় আরামবাগে একটি মেলায় দু’জনের পরিচয় হয়। দিন কয়েক আগে তারা পালিয়ে একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে। তখন থেকে মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতে সংসার করছিল।
বিডিও (খানাকুল ১) দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘অনেকে জেনেবুঝে এই ভুল করে। বাড়ির বড়রাও তাতে প্রশ্রয় দেয়। এ ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।’’