কামারপুকুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে শিশুর টিকাকরণ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ছাড়া গর্ভবতী মা ও শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন জেলার স্বাস্থ্য কর্মীরা। মঙ্গলবার গোঘাট-২ ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মীরা লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে। বুধবার গোঘাট ২ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় সেই কর্মসূচির নির্দিষ্ট দিন ছিল। এ দিন সকালেই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পৌঁছে গেল ‘পিপিই’ এবং ‘৯৫ মাস্ক’। টিকাকরণ কর্মসূচি শুরুও হয়ে গেল।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার উন্নত সরঞ্জাম পেয়ে খুশি স্বাস্থ্য কর্মীরা। এ দিন ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় অবশ্য শুধু প্রসূতিদেরই টিকাকরণ হয়েছে। মহামারির আইন মেনে ভিড় এড়াতেই শিশুদের জন্য পরের সপ্তাহে দিন ঠিক হয়েছে বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। স্বাস্থ্যকর্মী সুপ্রিয়া সাহা বলেন, “আমরা পিপিই এবং উন্নতমানের মাস্ক পেয়েছি। টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি ছিল। শিবির করতে আমাদের আপত্তি ছিল না। মা ও শিশু এবং আমাদের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই আমরা উপযুক্ত সরঞ্জাম চেয়েছিলাম।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ ভট্টাচার্য বলেন, “টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি চালাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘পিপিই’ এবং ‘৯৫ মাস্ক’ দেওয়া হয়েছে।”
করোনা আবহের জেরে গত ৩০ মার্চ রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়। ফের ৬ মে নতুন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়েও এই অপরিহার্য স্বাস্থ্য পরিষেবা চলবে। সংক্রমিত, অসংক্রিমিত এলাকা অনুযায়ী শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে শিবিরে উপভোক্তা কম রাখতে হবে। মানতে রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া ইত্যাদি নিয়মকানুনও।