Pandua

সমবায়ের ডিরেক্টর পদের দখল নিয়ে তৃণমূলে ‘কোন্দল’

সভায় গোলমালের আশঙ্কায় সমবায় কার্যালয় চত্বরে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। সভা শুরু হতেই বিবাদে জড়ান দুই গোষ্ঠীর সদস্যেরা।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৬
Share:

বৈঁচীতে সমবায়ের সভায় অশান্তি এড়াতে প্রহরায় পুলিশ — নিজস্ব চিত্র।

সমবায়ের ডিরেক্টর পদের দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পান্ডুয়ার বৈঁচীতে।

Advertisement

বুধবার বৈঁচী স্টেশন রোড সংলগ্ন বৈঁচী সিএডিসিএসএসসিএ সমবায়ের পরিচালন সমিতির সভা ছিল। কাকে সংস্থার ডিরেক্টর করা হবে, তা ঠিক করতেই সভা ডাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সভায় হাজির সমিতির সদস্যদের মধ্যে প্রবল বাগবিতণ্ডা হয়। হাতাহাতিতে জড়ান তাঁদের একাংশ। বিবাদ না-থামায় ভণ্ডুল হয়ে যায় সভা।

সমবায়ের পরিচালন সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৯। তাঁদের মধ্যে চার জন সিপিএমের। বাকিরা তৃণমূলের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৫ সদস্যের মধ্যে ১১ জন দলের ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী। বাকিরা ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি তথা পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষের অনুগামী। সমিতির সদস্য শেখ মান্নান সঞ্জীব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সমবায় সূত্রে খবর, দু’মাস আগে সমবায় সমিতির ডিরেক্টর শুভেন্দু কুমার পদ থেকে ইস্তফা দেন। কাকে নতুন ডিরেক্টর করা হবে তা ঠিক করতে এ দিন সভা ডাকা হয়েছিল। সভায় গোলমালের আশঙ্কায় সমবায় কার্যালয় চত্বরে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। সভা শুরু হতেই বিবাদে জড়ান দুই গোষ্ঠীর সদস্যেরা। একে অপরের উদ্দেশে কটূ বাক্য ছুড়তে থাকেন। বচসার সুর এতটাই চড়া ছিল যে, বাইরে থেকেও তা শোনা যায়। যে সব শব্দ তাঁরা ব্যবহার করছিলেন, তা শুনে স্তম্ভিত পথচলতি মানুষ। সভায় হাজির সমবায় দফতরের আধিকারিকেরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করেন। বিবাদ না-থামায় সন্ধে ৬টা নাগাদ সভা বাতিল করে দেওয়া হয়।

Advertisement

সমবায়ের সম্পাদক তথা হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা তৃণমূলের রূপা দে ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তা লজ্জার। কে ডিরেক্টর হবেন, তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যেত। অসিতবাবুর ঘনিষ্ঠরা যা করলেন, তা কাম্য ছিল না। যে বার্তা গেল, তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হতে পারে।’’ মান্নানের অভিযোগ, ‘‘অসিতবাবু প্রভাব খাটিয়ে সমবায় দখল করতে চাইছেন। সেই কারণেই এই ঘটনা।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে অসিতের বক্তব্য, ‘‘এটা সমবায়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। সমবায় কর্তৃপক্ষই সমস্যা মেটাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement