হুগলির চার ঠিকানায় ৫৯ টাকা কেজি পেঁয়াজ

এই বাজারে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ মিলবে, এ সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চান? তাই গত কয়েক দিন ধরে হুগলির চারটি ‘সুফল বাংলা’ স্টলে (চুঁচুড়া, আরামবাগ, উত্তরপাড়া এবং সিঙ্গুর) ভিড় উপচে পড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০২
Share:

সুলভে: কম দামে পেঁয়াজ কিনতে ভিড় আরামবাগে। —নিজস্ব িচত্র

লাইন পড়ছে ভোর থেকে। প্রাপ্তিযোগ অবশ্য সকলের হচ্ছে না। যাঁদের হচ্ছে, তাঁদের মুখে বিজয়ীর হাসি, বাকিদের মুখ ম্লান!

Advertisement

এই বাজারে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ মিলবে, এ সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চান? তাই গত কয়েক দিন ধরে হুগলির চারটি ‘সুফল বাংলা’ স্টলে (চুঁচুড়া, আরামবাগ, উত্তরপাড়া এবং সিঙ্গুর) ভিড় উপচে পড়ছে। সকলেই যে পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন, তা নয়। লাইনে দাঁড়িয়ে স্টল পর্যন্ত পৌঁছতে বেশির ভাগ সময় পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে, তা নিয়ে কোনও হই-হট্টগোল নেই। পরের দিন ক্রেতারা আবার আসছেন।

সোমবারই আরামবাগের ‘সুফল বাংলা’ স্টলে লাইন পড়ে ভোর ৬টা নাগাদ। ৮টা নাগাদ স্টল খোলে। তখন অন্তত ৩০০ লোকের লাইন। স্টলের মাত্র একজন কর্মী মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। তিন বস্তা (প্রতি বস্তায় প্রায় ৫০ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে গেল কয়েক ঘণ্টায়।

Advertisement

আরামবাগ-সহ হুগলির বিভিন্ন বাজারে এ দিন পেঁয়াজ বিকিয়েছে কেজিপ্রতি ১১০-১২০ টাকায়। পেঁয়াজের এই আকাশছোঁয়া দামেও পুলিশ বা সরকারি কোনও আধিকারিক ছাড়াই ‘সুফল বাংলা’য় সুষ্ঠু পরিবেশ থাকছে কী করে? স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, “প্রথমত, ভাল প্রচার নেই। অনেকে হয়তো কাড়াকাড়ি হবে ভেবে আসছেন না।’’

এ দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পেঁয়াজ না-পেয়ে ফিরতে হয়েছে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শোভন গনকে। তিনি বলেন, “সকাল ১১টায় স্টল থেকে জানানো হল, বস্তাখানেক পেঁয়াজ আছে। তাই ফিরে আসি। মঙ্গলবার আর একবার চেষ্টা করব। না পেলে বাজার থেকেই চড়া দরে কিনতে হবে।” ‘সুফল বাংলা’ থেকে সীমিত সুফল মিলছে বলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সাধারণ মানুষের হাতের কাছে টাটকা আনাজ পৌঁছে দিতে ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্পটির সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিকে মোবাইল ভ্যানে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হলেও পরে ঠিক হয় প্রতি জেলায় ৫টি করে স্টল দেওয়া হবে। জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে চারটি স্টল এ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় যাতে দ্রুত রেশন দোকান থেকে পেঁয়াজ মেলে, সেই দাবি উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement