প্রতীকী ছবি।
পণের দাবিতে গৃহবধূ এবং তাঁর আড়াই বছরের মেয়েকে খুনের দায়ে স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
বুধবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের জেলা দায়রা বিচারক রূপাঞ্জনা চক্রবর্তী তিনজনের সাজা ঘোষণা করেন। প্রধান অভিযুক্ত ওই গৃহবধূর স্বামী সজল পাড়ুইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই গৃহবধূর শ্বশুর হরেন্দ্র পাড়ুই এবং শাশুড়ি রিনা পাড়ুই-এর সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওযা হয়েছে। অনাদায়ে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০১৪ সালের ২৩ জুন উলুবেড়িয়ার শুড়িখালি গ্রামে চয়নিকা পাড়ুই ও তাঁর আড়াই বছরের মেয়েকে খুন করা হয়। চয়নিকার দাদা স্বরাজকুমার দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, পণের দাবিতে খুন করা হয়েছে তাঁর বোনকে। সজল, হরেন্দ্র এবং রিনার বিরুদ্ধে সরোজবাবু বোন ও ভাগ্নিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বিয়ের পর থেকে বোনের শ্বশুরবাড়ির দাবি মেনে সরোজবাবু দফায় দফায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। তবু টাকার চাহিদা কমেনি। এ বার আর সেই চাহিদা মেটাতে পারেননি সরোজবাবু। তাতেই তিনজনেচয়নিকা ও তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়। তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলার সরকারি আইনজীবী নিধুরাম নন্দী বলেন, ‘‘বিচারককের রায়ে আমি খুশি।’’ গৃহবধূর দাদা স্বরাজবাবু বলেন, ‘‘বোনের আত্মা শান্তি পাবে।’’