এ বার হাওড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে দিল তৃণমূল পরিচালিত এলাকার কাউন্সিলর। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মীরা তালা না খুলিয়ে শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে রইলেন। কিন্তু দলীয় ঝাণ্ডা লাগিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে আদৌ তালা ঝুলিয়ে দেওয়াটা কতটা আইনত, সেই প্রশ্নই এখন উঠছে সব মহলে। রাজ্যে শাসকদলের একের পর এক দাদাগিরির নমুনা অবশ্য রাজ্যবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুরের গড়বেতা কলেজ তৃণমূল ছাত্র নেতাদের সুবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট-নিউ টাউন ক্যাম্পাসে নির্বিচারে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে।
এ দিন কী ঘটেছে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০ টা নাগাদ দলবল নিয়ে হাওড়ার কোনায় ইউকো ব্যাঙ্কের শাখায় হাজির হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। যার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ এলাকার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ত্রিলোকেশ মণ্ডল। শুক্রবার সাত সকালের এই ঘটনায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হন গ্রাহকেরা।
স্থানীয়রা জানান, তখন ব্যাঙ্কের কর্মীরা সবে আসতে শুরু করেছেন। ব্যাঙ্কের গেটে তাঁরা তৃণমূলের ঝাণ্ডা-সহ একটি তালা লাগিয়ে দেন। বাইরেই আটকে পড়েন ব্যাঙ্কের আধিকারির-সহ কর্মীরা। ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। কিন্তু ব্যাঙ্কের গেট থেকে তালা খুলতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন।
তালা লাগানোর কারণ হিসাবে ত্রিলোকেশবাবু জানান, স্বনির্ভর প্রকল্প যোজনায় ঋণের আবেদন করা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক দীর্ঘদিন গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে না। সে কারণেই স্থানীয় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অপর দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যাঙ্কের কোনা শাখার ম্যানেজার বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই যোজনার আওতায় ঋণের জন্য জমা পড়া আবেদনের বেশিরভাগ নথিই ভুল রয়েছে। তা গ্রাহকদের জানানো হয়েছে। তা ছাড়াও আমাদের ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যাও খুব কম।’’