বৈদ্যবাটির সেই বাড়ি

চোরেদের ‘নেটওয়ার্ক’-এ নাস্তানাবুদ গেরস্থরা

বাড়ি বন্ধ করে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জো নেই! দুষ্কৃতীরা টের পেলেই দরজা বা তালা ভেঙে সব সাফ করে দেবে!চোরেদের এমন ‘নেটওয়ার্ক’-এ হুগলির বিভিন্ন এলাকায় নাস্তানাবুদ গেরস্থরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:১৩
Share:

ভাঙা: চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র

বাড়ি বন্ধ করে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার জো নেই! দুষ্কৃতীরা টের পেলেই দরজা বা তালা ভেঙে সব সাফ করে দেবে!

Advertisement

চোরেদের এমন ‘নেটওয়ার্ক’-এ হুগলির বিভিন্ন এলাকায় নাস্তানাবুদ গেরস্থরা। বুধবার রাতেও বৈদ্যবাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাতরা গোদারবাগান এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়িতে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ।

পুলিশের বক্তব্য, তল্লাশি চালিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরা সম্ভব হলেও লুঠের জিনিসপত্র উদ্ধার করা মুশকিল হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশের তরফে সর্বত্র ঘনঘন টহলদারি সম্ভব নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আরজি পার্টি তৈরি করে রাত পাহারার ব্যবস্থা করলে এই ঘটনা আটকানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতাও থাকবে। তবে যে ভাবে চুরি বাড়ছে তাতে কেউ বাড়িতে দিন কয়েক না থাকলে থানায় তাঁদের তা জানানো উচিত। পুলিশের পক্ষেও তাহলে নজরদারির সুবিধা হয়। এ ধরনের ঘটনা আটকাতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: এত্তা জঞ্জালে উজাড় পুণ্যভূমি, নাকাল পুরসভা

এ দিন টেলিফোনে সৌরভ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতী দল এই কাজ করেছে। বাড়িতে না থাকার কথা আমরা কাউকে জানাইনি। আমাদের বাড়িতে কোনও পরিচারিকাও নেই।’’ তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর গোরাচাঁদ শেঠ এবং শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিস্থিতির জেরে কর্মশালা বাতিল করেই তাঁকে ফিরতে হচ্ছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগেও ওই এলাকায় কেউ না থাকার সুযোগে দরজা ভেঙে একটি বাড়িতে চুরি হয়। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হলেও লুঠ হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার হয়নি।

তবে এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের বক্তব্য, ২-৩ দিন বা তার বেশি বাড়ি ফাঁকা থাকলে সেই ব্যক্তি বা পরিবার যেন নিকটবর্তী ফাঁড়ি বা থানায় জানান। আরজি পার্টির মাধ্যমেও পুলিশের তরফে এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, বার বার বলা হলেও নাগরিকদের তরফে সাড়া মেলে না।

শুধু শেওড়াফুলি নয়, হুগলির বিভিন্ন থানা এলাকাতেই এই ধরনের ঘটন‌া ঘটছে। সম্প্রতি চন্দননগরের মধ্যাঞ্চলের জজ গলি এলাকায় প্রাক্তন এক পুলিশ অফিসারের বাড়িতে চুরি হয়। ঘটনার দিন ওই বাড়িতেও কেউ ছিলেন না। মাস দেড়েক আগে চুঁচুড়ার রামকৃষ্ণপল্লি এবং ময়নাডাঙায় একই ঘটনা ঘটে। উত্তরপাড়ার কানাইপুরেও চোরের উপদ্রব বাড়ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement