দমকল অফিসের পাশেই চোলাই ঠেক গোলাবাড়িতে

দমকল দফতরের পাশে প্রকাশ্যেই চলছিল চোলাই মদের ব্যবসা। শনিবার আবগারি দফতরের তল্লাশির সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় ওই চোলাই ব্যবসায়ীদের চোলাই লুকিয়ে রাখার জায়গা হল হাওড়ার দমকল দফতরের ভাঙাচোরা গাড়ি আর আবর্জনার স্তূপ। ওই দিনই উদ্ধার হয় ২২০ লিটার চোলাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩২
Share:

দমকল দফতরের পাশে প্রকাশ্যেই চলছিল চোলাই মদের ব্যবসা। শনিবার আবগারি দফতরের তল্লাশির সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় ওই চোলাই ব্যবসায়ীদের চোলাই লুকিয়ে রাখার জায়গা হল হাওড়ার দমকল দফতরের ভাঙাচোরা গাড়ি আর আবর্জনার স্তূপ। ওই দিনই উদ্ধার হয় ২২০ লিটার চোলাই। ধরা পড়ে দুই চোলাই বিক্রেতা। সোমবার ফের ওই জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করল কয়েকশো লিটার চোলাই মদ। জেলার প্রধান দমকল দফতর থেকে এত চোলাই উদ্ধার হওয়ায় দফতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

দমকল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাঙালবাবু ব্রিজের কাছে, জিটি রোডের পাশেই রয়েছে হাওড়ার প্রধান দমকল কেন্দ্রটি। দমকল কেন্দ্রের পাঁচিলের পিছনেই রয়েছে এক ব্যবসায়ীর স্টোনচিপ মজুত করার জায়াগা। আর এই মজুত রাখা স্টোনচিপের আড়ালে একটা গুমটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল চোলাই মদের বেআইনি ব্যবসা। পুলিশ জানায়, গত শনিবার আবগারি দফতরের তল্লাশির সময় ধরা পড়ে যায় ওই ঠেকের মালিক মুন্না যাদব। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, দমকল দফতরের ভাঙাচোরা গাড়িগুলিকে চোলাই বিক্রেতারা ‘স্টোররুম’ হিসেবে ব্যবহার করে। প্রয়োজনমতো বার করে নিয়ে বিক্রি করে। এই তথ্য জানার পরেই এ দিন দুপুরে ওই জায়গায় ফের তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় কয়েকশো লিটার চোলাই মদ।

দমকল দফতরের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চোলাই বিক্রেতারা ঢুকত কী করে? কেনই বা দমকল জানত না?

Advertisement

হাওড়ার দমকল দফতরের বিভাগীয় প্রধান প্রশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘ওরা আমাদের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে এ সব রাখত। এর আগে অনেক বার দমকলের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে পালিয়েছে। ওই সময় পুলিশের কাছে এফআইআরও করা হয়েছিল। আগে পুলিশ পাহারা দিত। এখন দেয় না। রাতের অন্ধকারে কে কখন কী রাখছে, কী করে জানব।’’

প্রশান্তবাবু জানান, যে জায়গায় ভাঙা গাড়ি রাখা আছে, সেই জায়গা পরিষ্কার করেই খুব শীঘ্রই নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি হবে। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না বলেই আশা করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement