প্রতীকী ছবি।
ডানকুনি ফ্রেট করিডোরের জন্য বারুইপাড়া স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমিতে দোকান ভাঙা শুরু হল রবিবার।
রেল সূত্রে খবর, ওই স্টেশন লাগোয়া রেলের জমিতে ৪৫টি দোকান রয়েছে। মাস দু’য়েক আগেই রেল প্রশাসনের তরফে সেগুলি সরিয়ে নেওয়ার নোটিস দেওয়া হয় দোকানদারদের। শনিবার বিকেলে এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হয়। সেই মতো রবিবার সকাল থেকে দোকানদাররাই জিনিস সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন। অধিকাংশ দোকান খালি করে দেওয়া হয়।
কাজ চলার সময় পূর্ব রেলের আধিকারিকদের পাশাপাশি জিআরপি এবং আরপিএফের অফিসাররাও হাজির ছিলেন ঘটনাস্থলে। তবে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবারও কাজ চলবে। জিনিস সরিয়ে নেওয়ার পরে দোকানের কংক্রিটের অংশ যন্ত্র দিয়ে ভাঙা হবে।
২০১০ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পণ্য পরিবহণের সুবিধার জন্য ডানকুনি-লুধিয়ানা ফ্রেট করিডোর প্রকল্প ঘোষণা করেন। এর পরে নানা কারণে প্রকল্পের কাজ দীর্ঘায়িত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে সিঙ্গুর ব্লকেরই বলরামবাটিতে জমি মাপতে এসে রাজ্য ও রেলের আধিকারিকরা প্রস্তাবিত প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জমির মালিক ও দোকানদারদের বাধার মুখে পড়েন। ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রীতিমতো ‘বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহ রক্ষা কমিটি’ গড়া হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের তরফে। তবে সমস্যা মেটাতে আলোচনা চলছে বলে দু’পক্ষই জানিয়েছে।
সিঙ্গুরের বিডিও সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ফ্রেট করিডোরের জন্য গত দশ দিন ধরে শুনানির কাজ চলছে। নথিভুক্ত জমির মালিকদের অনেকেই সম্মতি দিয়েছেন। যাঁরা দেননি, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করা হবে।’’
অন্য দিকে ‘বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহ রক্ষা কমিটি’র সম্পাদক অনুপ দাসের বক্তব্য, ‘‘কোথায় কী ভাঙা হচ্ছে, জানি না। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে রাজ্য ও রেলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’’