বাড়িতে মজুত বাজি-বারুদ, আগুনে ঝলসে মৃত ২ জন

অবৈধ ভাবে বাজি বানিয়ে মজুত করা হচ্ছিল বাড়ির মধ্যে। বারুদ ও বাজি ভর্তি সেই বাড়িতেই চলছিল ফুলঝুরি বানানোর কাজ। হঠাৎ আগুন লেগে যাওয়ায় বাড়ির মালিক সহ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক সহকারীর। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে মহেশতলার নুঙ্গিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৫ ১৫:৩৫
Share:

চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ ভাবে বাজি বানিয়ে মজুত করা হচ্ছিল বাড়ির মধ্যে। বারুদ ও বাজি ভর্তি সেই বাড়িতেই চলছিল ফুলঝুরি বানানোর কাজ। হঠাৎ আগুন লেগে যাওয়ায় বাড়ির মালিক সহ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক সহকারীর। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে মহেশতলার নুঙ্গিতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িটির মালিকের নাম দেবব্রত মণ্ডল (৪২)। তাঁর সঙ্গে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সহকারী সুমন দাসের (২০)। কী ভাবে আগুন লাগল, সে ব্যাপারে পুলিশ বা দমকলকর্মীরা নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায় বাজির মশলায়। তার জেরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই দু’ জনের।

পুলিশ জানিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই এ দিনও তাঁর টালির চালের ঘরে দেবব্রতবাবু সহকারী সুমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজি বানানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ দিন ফুলঝুরি বানানোর কাজ চলছিল। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল বাজির মশলা। শর্ট সার্কিট হয়ে কখন আগুন লেগে যায়, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় তাঁরাও অগ্নিদগ্ধ হন।

Advertisement

ঘর থেকে ধোঁওয়া বেরিয়ে আসছে দেখে প্রতিবেশীরা দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে, সেই ইঞ্জিন কাজে লাগানোর দরকার হয়নি। ততক্ষণে আগুন নিভে গিয়েছিল। দমকলকর্মীরাই ঘর থেকে দেবব্রতবাবু ও সুমনের ঝলসে যাওয়া দেহ বের করে আনেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। ঘরটিতে আগুন লেগে গেলেও কোনও রকম বিস্ফোরণ হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement