পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় ৫৫টি নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। পূর্ত ও সড়ক দফতর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ওই সব রাস্তা তৈরির কাজ করছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সমস্ত কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ।
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, রাস্তাগুলি তৈরি হলে গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো গত ক্ষেত্রে অনেকটা উন্নতি হবে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। এই টাকতায় নতন রাস্তা তৈরির পাশাপাশি পুরনো রাস্তার সংস্কারের কাজও করা হবে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় ১৪টি ব্লকের মধ্যে ১১ টিতে নতুন রাস্তার কাজ হচ্ছে এবং সব ব্লকেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পুরনো রাস্তাগুলির সংস্কারের কাজও চলছে। বাগনান-১ ব্লকে ৩টি, বাগনান-২ ব্লকে ৩টি, উলুবেড়িয়া-১ ব্লকে ৬টি, উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে ৪টি, শ্যামপুর-১ ব্লকে ৮টি ও শ্যামপুর-২ ব্লকে ৫টি, পাঁচলা ব্লকে ৫টি নতুন রাস্তা তৈরি করছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এ ছাড়া আমতা-১ ব্লকে ৩টি। জগত্বল্লভপুর ব্লকে৯টি, উদয়নারায়ণপুর ব্লকে ৮টি ও সাঁকরাইল ব্লকে একটি নতুন রাস্তা তৈরি করছে জেলা পূর্ত ও সড়ক দফতর।
২০১২-’১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের এই রাস্তাগুলি বছরখানেক ধরে পড়েছিল। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজটি হুগলি রিভার ব্রিজ কর্পোরেশনের করার কথা ছিল। কিন্তু তারা করতে না চাওয়ায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর রাস্তাগুলি করার সিদ্ধান নেয়। বর্তমানে বেশ কিছু রাস্তার কাজও শুরু হয়েছে এবং অনেকগুলি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই সব রাস্তারও কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন।
যে কাজগুলি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর করছে সে ক্ষেত্রে নতুন কাজের জন্য প্রায় ৮৩ কোটি টাকা এবং পুরনো রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। পূর্ত ও সড়ক দফতরের ক্ষেত্রে নতুন রাস্তার জন্য ৪৮ কোটি টাকা ও পুরনো রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকার শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর, জগত্বল্লভপুর ও উলুবেড়িয়া ১ ও ২ ব্লকের যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা ভেবেই আগের বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ ওই সব রাস্তা তৈরির জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে জানিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই সংশিষ্ট দফতর ওই সব রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের পরিকল্পনা করে।
বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টচার্য বলেন, “ওই সব রাস্তা তৈরি ও সংস্কার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই কাজ করতে উদ্যোগী হওয়ায় গ্রামীণ এলাকার মানুষের অনেকটা সুবিধা হবে।”