কলকাতা পুলিশের মতো এমন বাহিনী এ বার দেখা যাবে হাওড়াতেও। ফাইল চিত্র
পথেঘাটে মহিলাদের উত্ত্যক্ত করা এবং ট্র্যাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা রুখতে কলকাতার ধাঁচে হাওড়াতেও তৈরি হচ্ছে ‘দ্য উইনার্স’-এর মতো প্রমিলা পুলিশবাহিনী। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরই এই দলে রাখা হবে। প্রত্যেককে দেওয়া হবে একটি করে স্কুটার। তাতে চেপেই শহরের বড় রাস্তা বা অলিগলিতে নজরদারি চালাবেন তাঁরা। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘হাওড়া শহরে ইভটিজ়ার ও ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীদের ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে এই দল। এতে রাস্তায় অপরাধের মাত্রা কমবে বলেই আমাদের আশা।’’
এর আগে একই লক্ষ্যে প্রমীলা বাহিনী তৈরি করেছিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে ওই বাহিনীকেও স্কুটার দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল বডি ক্যামেরার। তবে হাওড়ার ক্ষেত্রে এখনই ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তীকালে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, হাওড়ার পাঁচটি ট্র্যাফিক গার্ড থেকে দক্ষ মহিলা অফিসার, কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে ওই বাহিনী তৈরি করা হবে। পুলিশ কমিশনার জানান, আপাতত ১৫টি স্কুটার দেওয়া হবে। বাহিনীর সদস্যেরা শহরের পাঁচটি ট্র্যাফিক গার্ড এলাকায় ঘুরে নজরদারি চালাবেন। কেউ হেলমেট না পরে মোটরবাইক বা স্কুটার চালালে রাস্তাতেই ধরে জরিমানা করবেন তাঁরা। ইভটিজ়িং-সহ যে কোনও অপরাধমূলক কাজ দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যয়ের কাছে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ১৫টি স্কুটার কিনে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রসূনবাবুও পুলিশের এক অনুষ্ঠানে স্কুটার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পুলিশের বক্তব্য, হাওড়া শহরে ২০২১ সালের মধ্যে মেট্রো চালু হয়ে যাবে। তখন নিত্যদিন কয়েক লক্ষ যাত্রী হাওড়া ময়দান চত্বরে আসা-যাওয়া করবেন। ফলে শহরে ভিড় বাড়বে। যার জেরে বাড়তে পারে অপরাধের সংখ্যাও। ট্র্যাফিক সামলানোর পাশাপাশি এই মহিলা বাহিনী অপরাধীদের উপরে ঠিক মতো নজরদারি চালালে অপরাধের মাত্রা কমবে বলেই আশা পুলিশকর্তাদের।