ধৃত: সানোয়ার হোসেন।
জাল নথিপত্র দাখিল করে ওষুধের দোকান করার জন্য শংসাপত্র নিতে এসে ধরা পড়ল এক ভুয়ো ফার্মাসিস্ট। বুধবার বিকেলে চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতর থেকে সানোয়ার হোসেন নামে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করা হয়। সে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দা।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, নিজেকে হৃদয়রঞ্জন সিংহ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি হরিপালে ওষুধের দোকান করার শংসাপত্র নিতে এসেছিল। ফার্মাসিস্ট বলে সে যে সব নথি জমা দিয়েছে, সব ভুয়ো। ধৃতকে জেরা করে ওই চক্রে আরও কারা জড়িত তার খোঁজ চলছে। হুগলির অ্যাসিস্ট্যান্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার উৎপল মিশ্র বলেন, ‘‘ওষুধের দোকান করতে শংসাপত্র বের করার জন্য একটা জাল চক্র রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। কঠোর হাতে মোকাবিলার প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় নথি সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখাতেই ওই ব্যক্তি হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে সানোয়ার চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরে আসে। সে তার পরিচয়পত্র হিসেবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, মাধ্যমিকের শংসাপত্র-সহ যে সব নথি দেয় তাতেই আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। ওই সব নথিতে ছবি সানোয়ারের থাকলেও নাম ছিল হৃদয়রঞ্জনের। সানোয়ারকে এ নিয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্তোষজনক উত্তর না-মেলায় অভিযুক্তকে দফতরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। হুগলি ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের পক্ষ থেকে সানোয়ারের বিরুদ্ধে ভুয়ো ফার্মাসিস্ট হিসেবে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সানোয়ারকে গ্রেফতার করে।
ধৃত সানোয়ারের দাবি, ‘‘হরিহর পাল নামে এক ব্যক্তি ওষুধের দোকান করার জন্য টাকার বিনিময়ে আমাকে কাজে লাগানো হয়েছে।’’