জখম: বুদ্ধদেব দাস। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি তৈরির ভিতের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন এক শ্রমিক। কিছুটা খুঁড়তেই বিস্ফোরণ। জখম হলেন ওই শ্রমিক। বুধবার সকালে কোন্নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়ায় এই দুর্ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানান, ঠিক কী থেকে বিস্ফোরণ, তা স্পষ্ট নয়। তবে মাটির নীচে পুঁতে রাখা বোমা ফেটেই তা হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, অনেক বছর আগে ওই জায়গায় দুষ্কৃতী কার্যকলাপ ছিল। তখন বোমা লুকিয়ে রাখার জন্য ওখানে পোঁতা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এত দিন বোমা ভাল থাকতে পারে কিনা, তা নিয়েও তাঁরা সংশয়ে। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি প্রকল্পে ওই জায়গায় একটি বাড়ি তৈরির কাজে সম্প্রতি হাত দেওয়া হয়। এ দিন বুদ্ধদেব দাস নামে এক শ্রমিক মাটি কাটছিলেন। সকাল ১১টা নাগাদ কিছুটা মাটি কাটতেই গর্তের ভিতরে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বুদ্ধদেব ছিটকে পড়েন। তাঁর বাঁ হাত গুরুতর জখম হয়। পায়ে, পেটেও স্প্লিন্টার লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিনে তদন্তে আসে। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।
ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা বুদ্ধদেব জানান, ওই জায়গায় ঝোপ ছিল। ঝোপ এবং আবর্জনা পরিষ্কারের পরে মাটি কাটা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘মাটি কাটার সময় গর্তে কোদাল চালাতেই প্রচণ্ড শব্দে বোমা ফাটল। ছিটকে পড়ে যাই।’’ হাতের জখমের জেরে আর কাজ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ওই যুবক চিন্তিত।
ঘটনায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। ওই জায়গায় আর বিস্ফোরক রয়েছে কিনা, তা তাঁদের ভাবাচ্ছে। যাঁদের বাড়ি হচ্ছে, সেই পরিবারের সদস্য রিম্পা দাস বলেন, ‘‘যা ঘটল, তা খুব আতঙ্কের বিষয়। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে কেউ ওখানে বোমা পুঁতে রেখেছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’ নির্মল দাস নামে এক প্রৌঢ় জানান, বছর দশেক আগে ওই জায়গাতেই জঙ্গল পরিষ্কারের সময় বোমা ফেটে তাঁর ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়।