সচেতনতা: দূরত্ববিধি মেনে যাতে পুজো দেওয়া হয় তার জন্য দাগ দেওয়া চলছে মন্দির চত্বরে। — নিজস্ব িচত্র
ঘোষণা আগেই হয়েছিল। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার বেশি সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হল তারকেশ্বর মন্দিরের দরজা। বুধবার সকালে এক ঘণ্টার জন্য মন্দিরের ফটক খোলা হয়েছিল। তবে মন্দির খুলে গেলেও এ বার তারকেশ্বরে ঐতিহ্যবাহী শ্রাবণী মেলা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বুধবার মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে অনেকেই মেলা না করার পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে জানিয়েছেন পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা পুর-প্রশাসক স্বপন সামন্ত।
এ দিন দুই পর্যায়ে (ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা) পর্যন্ত মন্দিরের তিনটি দরজা খুলে রাখা হয়। পুজো দেন ভক্তেরা। বুধবার মন্দিরের অনেক পুরোহিতের মুখে মাস্ক না থাকায় প্রশ্ন উঠেছিল। এ দিন অবশ্য সকলের মুখেই মাস্ক ছিল।
এ দিন মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ফটকের সামনে দূরত্ব-বিধি মেনে দাঁড়ানোর জন্য গোল চিহ্ন কাটা হচ্ছে। অপেক্ষায় রয়েছেন ভক্তেরা। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তার প্রচার চলছে মাইকে। সেগুলি ফ্লেক্সে লিখে টাঙানো হয়েছে মন্দির চত্বরে। ভিড় এড়িয়ে মন্দিরে ঢোকার জন্য আবেদন করা হচ্ছে পূণ্যার্থীদের। এ দিন খুব বেশি ভিড় ছিল না।
বুধবার মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বেশ কয়েকটি বিধি-নিষেধ আরোপ করে মন্দির খোলা হবে। এ-ও সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরের চারটি গেটের সামনে ‘স্যানিটাইজ়েশন চ্যানেল’ বসানো হবে।
স্বপনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধাপে ধাপে সেগুলি রূপায়িত হবে। আপাতত সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে মন্দির খোলা হল।’’ শ্রাবণী মেলা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যই শ্রাবণী মেলা বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে মেলা বন্ধ থাকবে কিনা , তা পরে জানানো হবে।’’ মন্দির খুলে যাওয়ায় খুশি স্থানীয় দোকানিরা। তাঁদের মধ্যে সত্যজিৎ রক্ষিত নামে এক জন বলেন, ‘‘এ দিন স্থানীয় লোকজন পুজো দিয়েছেন। বাইরে থেকে ভক্তেরা আসেননি। ট্রেন চালু না হলে ভক্ত সমাগম হবে না।’’ পুজো দিতে আসা বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, ‘‘পারস্পরিক দূরত্ব রেখে পুজো দিয়েছি। মন্দির খোলা রাখতে গেলে বিধি-নিষেধ মেনে আমাদের সকলকে চলতে হবে।’’