—ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে খানাকুলের সাজুরঘাটে বিজেপি নেতা সুদর্শন পরামাণিককে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে খানাকুলের নতিবপুরে সুদর্শনের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য হিসেবে তাঁর স্ত্রী মামণির হাতে দলের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য স্তরের নেতারা। বিজেপি নেতাদের কাছে স্বামীর খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে মামণি বলেন, ‘‘সংসার চালাতে ছেলেমেয়ের জন্য কিছু একটা ভাবুন।’’ দিলীপ তাঁকে আশ্বস্ত করেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘খুনের তদন্ত করে দোষীদের সাজার দাবি করেছি আমরা। এই সরকার এবং পুলিশ যাদি না পারে, আমরা চাইব কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত হোক।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা কলিমুদ্দিন মল্লিক-সহ ১৮ জনের নামে সুদর্শনকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়। এ পর্যন্ত পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। মূল অভিযুক্তও এখনও অধরা।
পুলিশ জানায়, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তারা দাবি করেছিল, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বেই খুন। ‘পলাতক’ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির থানা ঘেরা করে কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে চলছে। খুনের প্রতিবাদে এ দিন দিলীপের নেতৃত্বে খানাকুলে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ অনুমতি না-দেওয়ায় মিছিল হয়নি। এ কথা জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “যারা খুন করেছে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমাদের কর্মীদের পুলিশ তাড়া করছে।’’