অবরোধ তুলতে গিলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। ছবি: সুব্রত জানা।
বাস ও অটোর সংঘর্ষকে ঘিরে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমতা-উলুবেড়িয়া রোড। চলল মারধর, পথ অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গণ্ডগোলের শুরু মঙ্গলবার। ওই দিন বিকেলে উলুবেড়িয়া-আমতা রুটের একটি বাস আমতা যাচ্ছিল। সেই সময় একটি অটোও আমতার দিকে যাচ্ছিল। চন্দ্রপুর ছোট বটতলার কাছে অটোর পিছনে বাস ধাক্কা মারে। অভিযোগ এতে অটোর সামান্য ক্ষতি হয়। অটোর এক যাত্রীও চোট পান। তা নিয়ে বাসচালক ও অটোচালকের বচসা বাধলেও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তা মিটে যায়। রাত নটা নাগাদ ওই বাসটি যখন ফের আমতার দিকে যাচ্ছিল তখন চন্দ্রপুর ছোট বটতলার কাছে কয়েকজন বাসটিকে দাঁড় করায়। অভিযোগ চালককে মারধরও করে তারা। প্রাণ বাঁচাতে চালক বাসটি চালিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় বাসের ধাক্কায় রাস্তায় রাখা একটি বাইকের ক্ষতি হয়। অভিযোগ তারপরেই স্থানীয় লোকজন বাসটিকে ধাওয়া করে আমতা পেট্রল পাম্পের কাছে সেটিকে ধরে ফেলে ও বাসচালক বিশ্বজিৎ পালকে প্রচণ্ড মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে যায়। বিশ্বজিতের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ওই রুটের সমস্ত বাসচালক আমতা পেট্রোল পাম্পের কাছে সকাল সাতটা থেকে আমতা-উলুবেড়িয়া রোড অবরোধ করেন। ঘণ্টা পাঁচেক অবরোধ চলার পর সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ এসে অবরোধ তোলে। বাস মালিক সংগঠনের অভিযোগ এই রুটে কয়েকশো বেআইনি অটো চলাচল করে। এতে একদিকে তাঁদের যেমন ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই রাস্তাও ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে দিনদিন অটোর দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনওপক্ষই অভিযোগ না জানালেও তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।