মৃত অষ্টা বড়াল। — নিজস্ব চিত্র
হুগলি সংশোধনাগারের জেল হাসপাতালের শৌচাগার থেকে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ মিলল রবিবার সন্ধ্যায়।
মৃত অষ্টা বড়াল (৩৪) চণ্ডীতলার কলাছড়ার বাসিন্দা। এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর খোঁজ না-মেলায় জেলকর্মীরা তল্লাশি চালাতে গিয়ে জেল হাসপাতালের শৌচাগারের রড থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। কম্বল ছিঁড়ে দড়ি বানানো হয়েছিল। সেই দড়ির ফাঁসেই ঝুলছিল দেহটি। চিকিৎসক গিয়ে পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সে দিন সকালেই শ্রীরামপুর জেল থেকে হুগলি জেলে আনা হয়েছিল অষ্টাকে। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই জেলের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, অষ্টা আত্মঘাতী হয়েছেন। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরে সোমবার দেহটি অষ্টার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টা আগে সোনার দোকানে কাজ করতেন। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে কাজ হারান। তারপর চাষাবাদের কাজে যুক্ত ছিলেন। সকলের নজর এড়িয়ে গলায় দড়ি দিয়ে অষ্টা আত্মঘাতী হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মৃতের দাদা গৌতম বড়াল। তাঁর দাবি, ‘‘ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। জেলে যাওয়ার আগে ও সুস্থই ছিল। সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হোক।’’