উৎসব: বড়দিনের অালোয় সেজেছে ব্যান্ডেল চার্চ। ছবি: তাপস ঘোষ ও সঞ্জীব ঘোষ
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকেই বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়ে যায় জেলায়। করোনা আবহে এ বছর সেই চিত্রের বদল চাইছে প্রশাসন। বড়দিনের সবরকম জমায়েতে এ বার পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছ। ব্যান্ডেল চার্চ, চন্দননগর চার্চ-সহ জেলার সমস্ত জায়গাতে জমায়েত নিষিদ্ধ। ভিড় যাতে না-হয় তা নিশ্চিত করতে নজরদারি চালাবে চন্দননগর কমিশনারেট এবং জেলা গ্রামীণ পুলিশ।
ব্যান্ডেল চার্চ, চন্দননগর চার্চ, স্ট্যান্ড ঘাট, শ্রীরামপুর চার্চ-সহ প্রতিটি জায়গাতেই সকাল থেকেই ভিড় জমা শুরু হয়। বাইরের জেলা থেকেও মানুষ আসেন বনভোজন করতে। সবুজদ্বীপ, গড়মান্দারণ, মানকুণ্ডুর আমবাগান, নিউদিঘা-সহ প্রতিটি পিকনিক স্পটে উপচে পড়ে ভিড়।
এ বছর পরিস্থিতি আলাদা। তাই, বাড়তি সর্তক প্রশাসন। চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘জেলায় চার্চগুলি-সহ যে সব জায়গায় ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সেই জায়গায় বাড়তি পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে এ বার। কোনও ভাবেই করোনা-বিধি লঙ্ঘন করে জমায়েত করা যাবে না। কারণ, তাতে করোনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মানুষকে বুঝতে হবে, স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা করার কোনও জায়গা এ বার নেই।’’
চন্দননগর কমিশনারেট এলাকার মতো এ বার হুগলির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ভিড় এড়াতে বাড়তি পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে। বড়দিনে কামারপুকুর ছাড়াও খানাকুল ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। হুগলি (গ্রামীণ) জেলার পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ সিংহ বলেন, ‘‘বড়দিনের উৎসবে এ বার করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে প্রতিটি থানাকে। ’’