আরামবাগ বিধানসভা এলাকা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএম। তৃণমূলের ৮৯ জনের নামের তালিকা পাঠিয়ে সিপিএম নেতাদের দাবি, “সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ওই তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” আরামবাগের মহকুমা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার প্রতুলকুমার বসু বলেন, “এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছি। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিপিএম সূত্রে খবর, সোমবার আরামবাগের দলীয় প্রার্থী অসিত মালিকের নির্বাচনী এজেন্ট তথা আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক নির্বাচন কমিশন এবং জেলা শাসকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে প্রতিটি অঞ্চল ধরে ধরে কোন বুথ এলাকায় কারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিরোল, বাতানল, মলয়পুর ১ ও ২, মায়াপুর ১ ও ২, মাধবপুর, সালেপুর ১ ও ২, আরান্ডি ১ ও ২, গৌরহাটি ১ ও ২ এবং আরামবাগ পুরসভা মিলিয়ে মোট ২৯০টি বুথের মধ্যে ২৪০টি বুথই অতি উত্তেজনাপ্রবণ দাবি করে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের কারা সন্ত্রাস করছে তাদের নাম উল্লেখ করে তালিকাও দেওয়া হয়েছে। যেমন আরান্ডি ১ পঞ্চায়েত এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য যাদের নাম করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শেখ সোহরাব হোসেন, শেখ সিদ্দিকি, বিজয় রায়, গঙ্গারাম রায় প্রমুখ। তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় সামসুল উদ্দিন, গোলাম আম্বিয়া, কাজি নিজামুদ্দিন (তিরোল প্রধান) প্রমুখ। তালিকার ওই সব তৃণমূল নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা পিস্তল, লাঠি, চেন, রড নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। ভোটের পর হাত পা ভেঙে দেওয়ার এমনকী প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সিপিএমের এমন অভিযোগ নিয়ে আরামবাগ তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর দাবি, ‘‘কোথায় কোনও সন্ত্রাস নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে আজগুবি অভিযোগ করছে সিপিএম। এ সব নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এ সব করে কোনও লাভ হবে না।” শক্তিমোহন মালিক বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধাগুলো নির্বাচন কমিশশকে জানিয়েছি। আশা করি নির্বাচন কমিশন এ সব বিবেচনা করবেন।’’