দ্বারস্থ: অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে আসছেন শুভেন্দুবাবু। নিজস্ব চিত্র
এলাকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দলেরই নেতার হাতে প্রহৃত হলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। বুধবার চন্দননগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পরিষদের সদস্য অমিত অগ্রবাল। আপাতত শুভেন্দুবাবু চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি থানায় মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে শুভেন্দুবাবু এলাকার নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পূর্ত বিভাগে গিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন অমিতবাবু। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, তাঁকে ঘরে ঢ়ুকতে দেখেই কটূক্তি করেন অমিতবাবু। দুজনের বাদানুবাদ শুরু হয়। শুভেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘আমার মুখে ঘুষি মারা হয়। তারপর কলার ধরে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।’’
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ অমিতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘পূর্ত দফতরের কাজের বরাত তাঁর লোককে না দিয়ে অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে কেন, সেই কৈফিয়ত নিতেই অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দুবাবু। তাঁকে একেবারেই মারধর করা হয়নি। উল্টে উনিই আমাকে মেরেছেন।’’
চন্দননগর পুরসভার ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫ জন দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত কয়েক মাস ধরেই মেয়র ও কয়েকজন মেয়র পারিষদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। প্রতিবাদে পুরসভায় যাতায়াতও বন্ধ করেছিলেন। সেই জট কাটেনি এখনও। সেই বিক্ষুব্ধদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দুবাবু। এ দিন সন্ধ্যায় কাউন্সিলরকে মারধরের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মেয়রের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা সিপিএমের রমেশ তিওয়ারির টিপ্পনী, ‘‘তৃণমূলের নিজেদের দ্বন্দ্বই মিটছে না। ওরা এলাকার সমস্যা কী ভাবে মেটাবে?’’
দলের নেতাদের মধ্যে এমন কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে বিব্রত পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী। তাঁর সাফাই, ‘‘দুজনের মধ্যেএকটা ভূল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নেওয়া হবে।’’