অমিল: দেখা নেই বাসের, উলুবেড়িয়ার নিমদিঘি স্টপে। ছবি: সুব্রত জানা
হাওড়া জেলায় ৫০টি রুটে প্রায় ৫০০ বেসরকারি বাস চলে। তার মধ্যে দু’টি রুটে সোমবার সাকুল্যে চলল মাত্র ১০টি বেসরকারি বাস। দু’টি বাগনান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। আটটি সাঁকরাইল থেকে আমতা। ট্রাম কোম্পানির একটি বাসও পথে নামল না।
এ দিন থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মী সংখ্যা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাসের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগ। সকালে দেখা গেল, বাগনান কেন্দ্রীয় বাসট্যান্ড খাঁ খাঁ করছে। এখান থেকে শ্যামবাজার ও ধর্মতলা— দুই রুটে বেসরকারি বাস এবং ধর্মতলা রুটের সিটিসি বাস চলে। এ দিন ধর্মতলা পর্যন্ত যে দু’টি বেসরকারি বাস গিয়েছে, তাতে সওয়ার হওয়ার জন্য ভোর থেকে লাইন পড়ে। এক-এক জন প্রায় দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে বাসে উঠতে পেরেছেন।
সিটিসি বাস না-পাওয়ায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্ট্যান্ডে সিটিসি কর্মীরা জানান, বাস চলার কথা ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সব বাস পরিযায়ী শ্রমিকদের আনতে ভিন্ রাজ্যে চলে যাওয়ায় রুটের বাস দেওয়া যায়নি।
স্ট্যান্ডে বাস না-পেয়ে অনেকে চলে আসেন মুম্বই রোডে। সেখানেও থিকথিকে ভিড়। দুরপাল্লার সরকারি-বেসরকারি বাসগুলিতে ওঠার জো ছিল না। তবু তাতেই ঠেসাঠেসি করে উঠে পড়েন অনেকে। কেউ কেউ অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে ছোট গাড়িতে চাপেন। কয়েকজন অফিসযাত্রী চার্টার্ড বাস করেন। মোটরবাইকেও সওয়ার হন অনেকে।
এই ছবি দেখা গিয়েছে জেলার প্রায় সর্বত্র। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ব্লক অফিসে গড়ে ৮০% হাজিরা ছিল বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। কমীরা নিজেরাই একসঙ্গে কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসেন। অফিসগুলিতে তাঁদের স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। কাউকে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে দেখা যায়নি।
শ্যামপুর-২ ব্লকের বিডিও সুব্রত ঘোষ জানান, ব্লক অফিসে প্রত্যেক কর্মী আলাদা জায়গায় বসেন। এমনিতেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বজায় থাকে। ফলে, আলাদা করে দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হয়নি।