পুত্রবধূ এবং দুই নাতির সঙ্গে দম্পতি। —নিজস্ব িচত্র
লকডাউনে কলকাতায় মেয়ের বাড়িতে আটকে পড়েছিলেন পান্ডুয়ার রামেশ্বরপুরের এক দম্পতি। সোমবার তাঁরা গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় ঘরে ঢোকা হল না তাঁদের। সোমবার খোলা আকাশের নীচে তাঁদের রাত কাটল। মঙ্গলবার তাঁরা ফিরে গেলেন কলকাতায়।
লালু সাউ এবং পূর্ণিমা সাউ নামে ওই দম্পতি জানান, মাস দু’য়েক আগে তাঁরা কলকাতার পার্কসার্কাসে মেয়ের বাড়িতে যান। লকডাউনে সেখানেই আটকে পড়েন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা মেজ পুত্রবধূ এবং দুই নাতিকে নিয়ে পান্ডুয়ায় নিজেদের বাড়িতে ফেরেন। অভিযোগ, তাঁদের দেখেই প্রতিবেশীরা জড়ো হন। তাঁরা বলতে থাকেন, কলকাতায় এখন করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। যেহেতু তাঁরা কলকাতা থেকে এসেছেন, এখানে থাকলে ওই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই তাঁরা যেন চলে যান। লালুরা জানান, তেমন হলে তাঁরা ১৪ দিন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। কিন্তু গ্রামবাসীরা সেই কথা কানে তোলেননি। পূর্ণিমা বলেন, ‘‘ওঁরা আমাদের বের করে ঘরে তালা মেরে দেয়। পূত্রবধূ এবং ছোট দুই নাতিকে নিয়ে রাস্তার ধারে রাত কাটাই।’’
ভোরে তাঁরা পান্ডুয়া থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। পুলিশ তাঁদের গ্রামে নিয়ে আসে। বাধার মুখে পড়ে পূর্ণিমারা কলকাতায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে লালু বলেন, ‘‘পুলিশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমরা অশান্তি চাই না বলে কলকাতায় বড়ছেলের বাড়িতে চলে এলাম। আসার আগে পান্ডুয়া হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়েছি। আমরা সবাই সুস্থ।’’ পূর্ণিমার কথায়, ‘‘স্বামী পার্কসার্কাসে ঘুগনি, আলুরদম বিক্রি করেন। লকডাউনে কলকাতায় সব বন্ধ। রোজগার নেই। খুব বিপদে পড়লাম।’’