সান্ত্বনা: বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলছেন গোঘাট-২ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ হালদার। —নিজস্ব চিত্র
তাঁদের নিভৃতবাসের শেষ দিন ছিল সোমবার। এ দিন থেকেই বাড়ি ফেরানোর দাবিতে ‘ভুখা আন্দোলন’ শুরু করলেন গোঘাটের কামারপুর কলেজে থাকা ভিন্ জেলার ৩৯ জন শ্রমিক।
মোট ৫০ জন শ্রমিক ওই কলেজে রয়েছেন। তাঁদের অর্ধেকই মুর্শিদাবাদের। ওড়িশায় গিয়েছিলেন কাজ করতে। লকডাউনের জেরে হেঁটে ফিরতে গিয়ে আটকে পড়েন কামারপুকুরে। সেখানেই তাঁদের নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। সেই চোদ্দো দিনের পর্ব শেষ হয় সোমবার। এ দিন প্রাতঃরাশে সকলে মুড়ি খেলেও ৩৯ জন দুপুর থেকে খাওয়া বন্ধ করে অনশন শুরু করেন। গোঘাট-২ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ হালদার এসে তাঁদের লকডাউন পরিস্থিতির কথা বুঝিয়ে খাওয়ার অনুরোধ করলেও শ্রমিকেরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। শ্রমিকেরা খাবারের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বিডিও বলেন, ‘‘ওই শ্রমিকেরা যাতে খাওয়া-দাওয়া করেন, তা নিয়ে বোঝানো হচ্ছে। খাবারের গুণমান নিয়ে অভিযোগ ঠিক নয়। সয়াবিন, ডিম, মাছ, আনাজ—সব রকমই বিভিন্ন দিনে পালা করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় টিফিনের ব্যবস্থা করা হবে। ওঁদের বাড়ি পাঠানোর বিষয়টা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
অনশনে বসা শ্রমিকদের পক্ষে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার হাসনপুর গ্রামের শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘‘বলা হয়েছিল ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকার পর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা সবাই সুস্থ আছি। ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে। আমাদের পরিবারের লোকেরা নানা অসুবিধায় পড়েছেন। আমাদের কবে বাড়ি পাঠানো হবে তা না জানা পর্যন্ত আমরা খাব না।”