—ফাইল চিত্র।
চলতি মাসের ১৯ তারিখে চালু হচ্ছে মঙ্গলাহাট। তবে দিনে নয়, এ বার হাট বসবে রাতে। তা-ও শুধু শনিবার। হাটে যাঁদের স্থায়ী দোকান আছে, তাঁরাই কেবল বসার অনুমতি পাবেন। কোভিড পরিস্থিতির জন্য গঠিত হাওড়া জেলা টাস্ক ফোর্সের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও তা কোনও ভাবেই মানতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক না করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এটা মানা যাবে না।
শতাব্দীপ্রাচীন মঙ্গলাহাট চালু করা নিয়ে চলতি মাসেই জেলা টাস্ক ফোর্স সিদ্ধান্ত নেয় যে কোভিড বিধিনিষেধ মেনে পুজোর আগেই হাট চালুর চেষ্টা হবে। তবে হাট সংলগ্ন রাস্তাগুলিকে ফের কন্টেনমেন্ট জো়ন ঘোষণা করায় স্থির হয়, রাস্তায় বসা খুচরো ব্যবসায়ীদের হাটে বসতে দেওয়া হবে না। তাঁদের জন্য কাছাকাছি কোথাও অস্থায়ী হাট করে দেওয়া হবে। যে ১১টি বাড়িতে হাট বসে সেখানে কোভিড-বিধি মেনে কী ভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলা টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য-সহ প্রশাসনের পদস্থ অফিসারেরা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহ হাটের স্থায়ী জায়গা অর্থাৎ ওই ১১টি বাড়িতেই হাট বসবে। তবে সোম থেকে মঙ্গলবার নয়। হাট
শনিবার রাতে বসবে। চলবে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘এখন দু’সপ্তাহের জন্য শনিবার রাত ৯টা থেকে পরদিন রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে
ব্যবসা হচ্ছে তা নজর রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’’
জেলাশাসক জানান, সংক্রমণ বাড়ায় ওই এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জো়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওখানে হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও প্রশাসনিক নানা অফিস রয়েছে। নতুন করে হাওড়া হাসপাতালে সংক্রমণ ছড়ালে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তাই ঝুঁকি নেওয়া হবে না। যদি দেখা যায়, হাট চালুর পরে সংক্রমণ বাড়ছে, তখন বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানতে রাজি নন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির সহ সম্পাদক কানাই পোদ্দার বলেন, ‘‘শনিবার রাতে হাট বসার সিদ্ধান্ত আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই প্রশাসন নিয়েছে। রাত ৯টায় হাট বসলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আসবেন কী ভাবে? বিক্রি কী করে হবে? এই সিদ্ধান্ত আমরা মানছি না।’’