ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত কি না, তার খোঁজ নিতে এ বার প্রতিটি বাড়িতে যাবেন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর জন্য আড়াই হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কারও মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তাঁরা ৬৬টি ওয়ার্ডের ১৬টি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের জানাবেন। শুক্রবার হাওড়া পুরসভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়। এ দিন হাওড়া শহরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হয়। সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ-সহ পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
বৈঠকের পরে অরূপবাবু জানান, রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় করোনা নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা কমাতে মানুষকে ঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা। করোনা থেকে বাঁচতে রাজ্য সরকার যা নির্দেশ দিচ্ছে, তা-ও মেনে চলতে বলা হবে মানুষকে। করোনাভাইরাস নিয়ে চার লক্ষ লিফলেট এ দিন পুরকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা শহরে বিলি করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বিদেশ ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা ৩৯০ জনের উপরে নজরদারি চলছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ জনকে বাড়িতেই কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। অরূপবাবু জানান, সত্যবালা আইডি হাসপাতালে এক জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁর ওই সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘শহরের অনেক বাজারে অহেতুক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। তাই এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিতে অভিযান চালাতে।’’