সুনসান: সোমবার চকবাজার মাছের আড়ত। ছবি: তাপস ঘোষ
‘আনলক’ প্রক্রিয়া শুরুর পরে খুলেছিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চকবাজারের জেলার অন্যতম বড় মাছের আড়ত। কিন্তু সেখানে আসা মাছের খুচরো ক্রেতারা স্বাস্থ্য-বিধি না মানায় করোনা-আতঙ্কে ফের আড়ত বন্ধ করলেন ব্যবসায়ীরাই। তাঁদের অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করলেও ক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না। দূরত্ব-বিধিও নামছেন না। ইতিমধ্যেই আড়তের কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী ও কর্মীর মধ্যে জ্বর-সহ নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
সোমবার বন্ধ ছিল চকবাজারের মাছের আড়ত। আড়ত কর্তৃপক্ষের তরফে সংস্থার সচিব বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘লকডাউন চলাকালীন আড়ত বন্ধ ছিল। আনলক-পর্ব শুরু হলে বিধিনিষেধ মেনে ফের খোলা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা খুচরো ব্যবসায়ীরা দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে আড়তে ভিড় করছিলেন। তাতে ব্যবসায়ী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেক বার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা বিধিনিষেধ মানতে রাজি ছিলেন না। তাই বাধ্য হয়েই আড়ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ পুরসভার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মাছ কিনতে আসা খুচরো ব্যবসায়ীরা দূরত্ব-বিধি মানছিলেন না। আড়তের ব্যবসায়ী ও কর্মীরা আতঙ্কিত। ব্যবসায়ীরা তা জানালে আলোচনার করে আড়ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
আড়তের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘ক্রেতাদের বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন করোনা প্রতিরোধে বিধি মেনে আড়তে আসেন। প্রথম দিকে তাঁরা বিধি মেনেছিলেন।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এখন কেউ করোনা-বিধি মেনে আড়তে আসছেন না। মুখে মাস্ক নেই। দূরত্ব-বিধি মানার বালাই নেই। আড়তের কেউ এখনও করোনায় আক্রান্ত হননি, তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মীরা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’’
এ দিন আড়ত বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন খুচরো মাছ বিক্রেতারা। চকবাজারের আড়তে মাছ কিনতে আসেন চুঁচুড়া, চন্দননগর, ব্যান্ডেল ও সংলগ্ন এলাকায় বহু খুচরো বিক্রেতা। এ দিন তাঁরা চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন আড়ত থেকে মাছ কেনেন। মাছের খুচরো ব্যবসায়ী মধু দাস বলেন, ‘‘চকবাজার আড়তে নানা ধরনের মাছ মিলত। স্টেশন সংলগ্ন আড়তে তা মেলে না। চকবাজারের আড়ত ফের বন্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় যেতে হবে।’’