Coronavirus in Howrah-Hoogly

নামামাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষা অজমের-ফেরতদের

অজমেরে আটকে পড়া ওই মানুষদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়াও রোগী, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রীরা রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২০ ০৫:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবশেষে বিশেষ ট্রেনে রাজস্থানের অজমের থেকে আজ, মঙ্গলবার ফিরছেন এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক-সহ মোট ১১৮৬ জন। সকাল ১০টা নাগাদ ট্রেনটির ডানকুনিতে এসে পৌঁছনোর কথা। সেখানে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
থাকছে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা। সব ঠিক থাকলে তারপরে বাসে করে বিভিন্ন জেলার মানুষদের রওনা করানো হবে বলে হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

অজমেরে আটকে পড়া ওই মানুষদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছাড়াও রোগী, ছাত্রছাত্রী এবং তীর্থযাত্রীরা রয়েছেন। তাঁরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে সোমবার ডানকুনি কোল ইন্ডিয়ার অতিথিশালায় বৈঠকে বসেন
রাজ্য পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ, চন্দননগর কমিশনারেট এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। সেখানেই ওই সিদ্ধান্ত হয়। ওই যাত্রীদের নিজের নিজের জেলায় পাঠানোর জন্য ডানকুনিতে ৬০টি বাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘অজমের ফেরত ট্রেনযাত্রীদের সকলের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা শংসাপত্র দিলে তবেই তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ট্রেন থেকে নামার পরেই পুলিশি ঘেরাটোপে তাঁদের ডানকুনি রেল ইয়ার্ডের একটি ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে ‘থার্মাল গান’ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তাঁদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। হুগলি জেলার যে ক’জন যাত্রী রয়েছেন, মধ্যাহ্নভোজের পরে তাঁদের প্রথমে ডানকুনি থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া সিঙ্গুরের মহেশ্বরপুরে আনা হবে। সেখানে ক্যাম্প করে তাঁদের প্রত্যেকের আরও এক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেই সময় কারও কোনও সমস্যা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মনে হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে। বাড়ি ফেরার পরেও ট্রেনযাত্রীদের প্রত্যেককে আপাতত ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে।

তবে, প্রশাসনের একাংশ কিছুটা উদ্বেগেও রয়েছেন। এর আগে সংক্রমণের ভয়ে কোটা-ফেরত উত্তরপাড়ার তিন ছাত্রকে বাড়ি ঢুকতে বাধা দেওযার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের পড়শিদের বিরুদ্ধে। এ বারও তেমন কিছু হবে কিনা, সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ওই ট্রেনযাত্রীদের যাতে হেনস্থার শিকার না হতে হয়, সে জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মানুষের উদ্বেগ স্বাভাবিক। জেলার নানা প্রান্তে করোনা ছড়িয়েছে। তবে করোনা প্রতিরোধে সব রকম ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারাও জানিয়েছেন, ওই ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে যাঁরা হাওড়ার বাসিন্দা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁদেরও নিভৃতবাসে রাখা হবে। সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement