পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
দীর্ঘপথ আসতে তাঁদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু শুক্রবার রাতে রাজস্থানের কোটা থেকে ফিরতেই পাড়া-পড়শির প্রবল বাধার মুখে পড়তে হল উত্তরপাড়ার তিন ছাত্রকে। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে প্রশাসনিক উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই তাঁরা ফিরছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে গড়ায়, হস্তক্ষেপ করতে হয় পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে। শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই ছাত্রেরা বাড়ি ঢুকতে পারেন।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘প্রশাসন সজাগ আছে। কোথাও করোনা সংক্রমণের ন্যূনতম সম্ভাবনা থাকলে ঝুঁকি নেওয়া হবে না। এলাকার মানুষজন অযথা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি জটিল করছেন।’’ কোটা থেকে ফেরা প্রত্যেককেই ১৪ দিন বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে ওই তিন জনের মতো এ রাজ্য থেকে বহু পড়ুয়া কোটায় গিয়েছিলেন। লকডাউনে তাঁরা আটকে পড়েছিলেন। টাকাপয়সা ফুরিয়ে গিয়েছিল, খাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে কোটা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে গত ২৭ এপ্রিল পড়ুয়াদের ফেরানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুক্রবার সড়কপথে তাঁদের ফেরানো হয়।
উত্তরপাড়ার তিনটি ভিন্ন এলাকায় ওই তিন ছাত্রের বাড়ি। অভিভাবকেরা ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে গেলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় রে রে করে ওঠেন পড়শিরা। দু’টি এলাকায় পুরপ্রধান নিজে গিয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে কোনও মতে দুই ছাত্রকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু অন্য এলাকাটিতে পুরপ্রধানও বাধার মুখে পড়েন। পুলিশ আসে।
ওই ছাত্রদের অভিভাবকেরা জানান, তাঁরাও সতর্ক রয়েছেন। কোটায় তিন ছাত্রেরই কোভিড় পরীক্ষা হয়েছিল। এ দিন শ্রীরামপুর ওয়ালশেও দীর্ঘক্ষণ ছেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শংসাপত্র দেওয়া হয়। ওই রাতে আরামবাগ মহকুমার ২৪ জন এবং পান্ডুয়া ব্লকের চার ছাত্রকেও কোটা থেকে ফেরানো হয়। তবে, তাঁদের বাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি বলে প্রশাসন জানিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আরামবাগের ওই ২৪ জন শনিবার মহকুমা হাসপাতালে যান।