প্রতীকী ছবি।
মাসের শুরুতে পেনশনের টাকা তুলতে পারছেন না বহু প্রবীণ। বেতন হয়ে গেলেও বহু মানুষ সেই টাকা তুলতে পারেননি। আবার এটিএম কার্ড-সহ যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন কেউ কেউ। কারণ ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় অন্য অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকাও তুলতে পারছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে যে ব্যাঙ্কগুলি আছে আজ, বুধবার থেকে সেগুলি শর্তসাপেক্ষে খোলার জন্য উদ্যোগী হল হাওড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলাশাসক মুক্তা আর্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই ব্যাঙ্কগুলিকে বুধবার থেকে খোলা রাখার কথা বলেছেন।
হাওড়া জেলাকে রেড জ়োন ঘোষণা করার পরেও অস্বাভাবিক ভিড় হতে থাকায় এপ্রিল মাসে সব ব্যাঙ্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। শুধু এটিএমগুলি খুলে রাখতে বলা হয়। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার হাওড়ার ৭৬টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করে। গ্রামীণ কিছু এলাকা বাদ দিলে এর অধিকাংশই হাওড়া পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ড পড়ে। এই জ়োনগুলিতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শুধু ব্যাঙ্কই নয়, সমস্ত বাজার-দোকান বন্ধ করে দিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সিল করে দেওয়া হয় এলাকাগুলি। বর্তমানে প্রায় গোটা শহর জুড়ে পাড়ায় পাড়ায় ট্রলিতে করে আনাজ বিক্রি এবং মুদির দোকান থেকে হোম ডেলিভারি চালু হয়েছে।
হাওড়ার জেলাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কন্টেনমেন্ট জ়োন বাদ দিয়ে বাকি অংশে বুধবার থেকে ব্যাঙ্ক খুলতে বলা হচ্ছে। তবে এর জন্য কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে।’’ জেলাশাসক জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের ভিতরে কর্মচারী-সহ গ্রাহকের সংখ্যা কোনও সময়ে সাত জনের বেশি হবে না। গ্রাহকদের লাইনে দূরত্ব-বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। মাস্ক না-পরে কাউকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যে ব্যাঙ্ককর্মীরা কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দা, তাঁরা কাজে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।