hooghly

যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক

স্বাস্থ্যকর্তা আরও জানান, দেহটি আপাতত হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মৃতের পরিজনদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৮
Share:

উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালের সুপারের ঘরে হাজির নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: সুব্রত জানা

সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে দিল্লি থেকে ফেরা ধনেখালির এক যুবক গত বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। শুক্রবার সকালে বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘যুবকের নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ হৃদ্‌রোগে তিনি মারা যান। যে হেতু তিনি ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফিরেছেন, সে জন্য তাঁর লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। রিপোর্ট মেলেনি। ফলে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’ ওই স্বাস্থ্যকর্তা আরও জানান, দেহটি আপাতত হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মৃতের পরিজনদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ওই যুবকের পড়া-পড়শিদের একাংশের সন্দেহ, করোনাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই যুবক। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য তিনি ওই যুবকের শারীরিক পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য প্রকাশের দাবিও তুলেছেন। লকেট বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলায় এখন সকলকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই জায়গায় কিছু একটা লুকোচাপার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধনেখালির ওই যুবকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কিছুটা গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের আতঙ্ক কাটাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধনেখালির গোপীনাথপুরের ওই যুবক গত ১৫ মার্চ দিল্লি থেকে ফেরেন। দিন চারেক পরে তিনি সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্টও ছিল। তাঁকে প্রথমে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় কয়েকদিন পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে তিনি ফের শ্বাসকষ্টে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে পাড়া-পড়শির সন্দেহ হয়। ওই অবস্থায় তিনি পাড়ায় মেলামেশাও করেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গত বুধবার ওই যুবককে ফের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।

যুবকের পরিবারের একজন বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে ফেরার পর আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য ওঁর জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ওঁর দীর্ঘদিনের। এখন পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু হয়েছিল কিনা, বোঝা যাচ্ছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement