Facebook

হাওড়ায় ফেসবুক-পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

শ্যামপুরের রবীন্দ্রনাথ দাস যে উদ্দেশ্যে ফেসবুক ব্যবহার করলেন, তা নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে বাগনানে।

Advertisement

সুব্রত জানা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৮
Share:

এই সেই পোস্ট। নিজস্ব চিত্র

ঋণ আদায়ে হাতিয়ার ফেসবুক!

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক প্রচার চালানো নতুন কিছু নয়। কোনও অনুষ্ঠানকে প্রচারের আলোয় আনতেও ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে থাকেন নেটিজেন-রা। কিন্তু শ্যামপুরের রবীন্দ্রনাথ দাস যে উদ্দেশ্যে ফেসবুক ব্যবহার করলেন, তা নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে বাগনানে। পক্ষে-বিপক্ষে সরব অনেকেই।

শ্যামপুরের শিবগঞ্জের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথের দাবি, ২০১৯-র ১৫ জুলাই তাঁর মা ভারতী দাসের থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ওই এলাকারই এক ব্যবসায়ী পীযুষ দাস। শর্ত ছিল মাসে ৩.৫ শতাংশ হারে (১,৭৫০ টাকা) ওই ব্যবসায়ী সুদ দেবেন ভারতীকে। আসল শোধ করতে হবে ছ’মাসের মধ্যে। এই মর্মে দু’পক্ষের চুক্তি হয়।

Advertisement

রবিবার রবীন্দ্রনাথ সেই চুক্তির ফোটোকপি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সঙ্গে পীযূষের কাছে টাকা পরিশোধের আর্জিও জানান। তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন।

রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, ‘‘আসল বা সুদ— কিছুই দিচ্ছিল না পীষূষ। ফোনও ধরছিল না।’’ তিনি জানান, ঋণগ্রহীতা তাঁর বন্ধু। কারবার চালাতে পারছিলেন না বলে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। সেই কারণে মায়ের থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তা মাসিক ৩.৫ শতাংশ হারে পীষূষকে ঋণ দিয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, ‘‘পীযূষ ফোন ফোন ধরছে না। দেখাও করছে না। তাই বাধ্য হয়েই ফেসবুকে পোস্ট করি।’’

অন্য দিকে, পীযুষের পাল্টা দাবি, ঋণে নেওয়া টাকার অর্ধেক তিনি রবীন্দ্রনাথকে সুদ-সহ ফেরত দিয়েছিলেন। পীষূষ বলেন, ‘‘৫০হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম ঠিক কথা। তবে লকডাউন-এর মধ্যেই আমি ২৫ হাজার টাকা সুদ-সহ রবীন্দ্রনাথকে ফেরত দিয়ে দিই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ সেই টাকা ওর মাকে না-দিয়ে উল্টে আমার নামে বদনাম করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছে।’’ এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘সমস্ত বিষয় কোর্ট পেপারে লেখা আছে। এখন টাকা দেবে না বলে ও মিথ্যা বলছে। টাকা না-দিলে পুলিশের দারস্থ হব।’’ পীযূষের পাল্টা হুমকি, ‘‘আমার সম্মানহানি করার জন্য আইনুনাগ ব্যবস্থা নেব।’’

রবীন্দ্রনাথের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি লেখা বা পোস্ট করা যায় না। কারও সম্মানহানি করা অনভিপ্রেত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement