Environmental Awareness

বাণী-বন্দনায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা

মণ্ডপের আকার বিশাল গাছের মতো। একদিক শুকনো। অন্যদিক সবুজ। এই মণ্ডপই বুঝিয়ে দেবে জল না থাকলে কী অবস্থা হয়। আর জল থাকলে কী হয়।

Advertisement

নুরুল আবসার ও সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৫০
Share:

প্রস্তুতি উলুবেড়িয়া জগৎপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র

মণ্ডপের আকার বিশাল গাছের মতো। একদিক শুকনো। অন্যদিক সবুজ। এই মণ্ডপই বুঝিয়ে দেবে জল না থাকলে কী অবস্থা হয়। আর জল থাকলে কী হয়।

Advertisement

বাগনানের হিজলক ফ্রেন্ডস ক্লাবের এ বারের সরস্বতী পুজোর থিম—‘জলসঙ্কট নিয়ে সচেতনতা’। শুধু এই ক্লাবই নয়, গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এ বারে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে।

বাগনানেরই কালিকাপুর পল্লিশ্রী পাঠাগারে সরস্বতীর মূর্তি করা হয়েছে পাটের গয়না দিয়ে। পাশাপাশি পাটশিল্প বাঁচাতে এবং পরিবেশ রক্ষা করতে মঙ্গলবার বিকেলে পুজোর উদ্বোধনের দিনে শোভাযাত্রা করা হয়। তাতে ছিল জেলার অন্যতম নিজস্ব লোকসংস্কৃতি— কালিকাপাতাড়ির নাচ। পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে পাটশিল্প রক্ষা করার বার্তা দেওয়া হয়। বহু মানুষ শোভাযাত্রায় শামিল হন। উলুবেড়িয়ার জগৎপুর গার্লস হাইস্কুলের থিম হল ‘সবুজ পৃথিবী’। মণ্ডপ নির্মাণে থার্মোকল নয়, ব্যবহার করা হয়েছে কাগজ এবং গাছের ডালপালা। স্কুলে এ বারে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে যে প্রীতিভোজ হবে তাতেও থার্মোকলের বদলে শালপাতার থালা ব্যবহার করা হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

Advertisement

হিজলক ফ্রেন্ডস ক্লাবের সম্পাদক বিকাশ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের মণ্ডপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। মণ্ডপটি পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতেই তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রতিমা দেখতে বহু মানুষ আসেন। এই মণ্ডপের মাধ্যমেই তাঁদের আমরা বুঝিয়ে দেব, জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী। জল সংরক্ষণ নিয়ে আমরা প্রচারও চালাব।’’

শুধু মণ্ডপ তৈরিতেই নয়, জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে এ বারে সরস্বতী পুজোর প্রীতিভোজে থার্মোকল ব্যবহারেও রাশ টানা হচ্ছে। পুজোর সময়ে থার্মোকল ব্যবহারে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হয়, তেমনই পুকুর এবং খাল বুজে যায় বলে পরিবেশপ্রেমীদের দাবি। সে জন্য থার্মোকলের থালা-বাটির ব্যবহার ঠেকাতে স্কুলগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিল বিভিন্ন পরিবেশ সংগঠন। তাতে বেশ কাজ হয়েছে বলে ওই সব সংগঠনের দাবি। তারা জানিয়েছে, বহু স্কুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে শালপাতার থালাবাটি ব্যবহারের। এই সচেতনতা বৃদ্ধি এ বার সরস্বতী পুজোকে অনেকটাই পরিবেশ-বান্ধব করে তুলবে বলে ওই সব সংগঠনের কর্তাদের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement