বিক্ষোভ: উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে জড়ো হয়েছেন হকাররা।
রেলের তরফে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে, এই খবরে শনিবার হুলুস্থুল হল শেওড়াফুলি স্টেশনে। পূনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ চলবে না, এই দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান হকাররা। রেল অবরোধ হয়। পরিস্থিতি সামলাতে আরপিএফ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ করে। ঘটনার জেরে সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।
সূত্রের খবর, উচ্ছেদ-অভিযান হবে, এই খবর পেয়ে হকাররা শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশন চত্বরে জড়ো হন। শুরু হয় বিক্ষোভ। তৃণমূলের হকার সংগঠনও তাতে সামিল হয়। তাদের নেতৃত্বে মিছিল এবং সভা হয়। বেলা ১টা নাগাদ হকারদের তরফে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় আরপিএফ বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালায়। স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও লাঠির আঘাত থেকে বাদ যাননি। লাঠির ঘায়ে কয়েক জন হকার এবং যাত্রী আহত হন বলে অভিযোগ।
এক যুবক বলেন, ‘‘ট্রেন ধরব বলে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলাম। বৈধ টিকিট রয়েছে। হঠাৎ আরপিএফ লাঠিপেটা শুরু করল। আমিও মার খেলাম। কেন এমনটা হবে? আমার কি অপরাধ?’’ একাধিক মহিলার এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। লাঠিচার্জের জেরে পরিস্থিতি আরও তেতে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ কিছুক্ষণ ট্রেন অবরোধ করেন। স্টেশন ম্যানেজারের কার্যালয় লক্ষ্য করে রেল লাইনের পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। জিআরপি এবং আরপিএফ পরিস্থিতি সামলায়।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আরপিএফের দাবি, লাঠাচার্জ করা হয়নি। যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য গোলমালকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।