উত্তপ্ত ডোমজুড়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ায় ডোমজুড়ের নারানা পঞ্চায়েত এলাকা। ২ দলই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে। শনিবার রাত্রের ঘটনায় এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
নারনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার তৃণমূল নেতা বুবাই চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, রাতে তিনি বাড়ির সামনে একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করা হয় ও তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বুবাইয়ের দাবি, এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
ডোমজুড়ে বিজেপির ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শোভন নস্কর পাল্টা দাবি করেছেন, তৃণমূলের লোকজনই তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। তাঁকে মারধর করেছে, ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর। তিনি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে ডোমজুড় থানায় যান। শোভনের অভিযোগ, সেই সময় থানার পিছন দিকে শাসক দলের প্রচুর লোকজন অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। থানার আশপাশের নজরাদির ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়েছে। সেখানে নাকি দেখা গিয়েছে, তলোয়ারের মতো অস্ত্র নিয়ে শাসক দলের একশো দেড়শো জন জড়ো হয়েছিল। কিন্তু তাও পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে বিজেপি কর্মীদেই সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। শোভন জানিয়েছেন, এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করে তাঁরা আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন।
তৃণমূলের তরফে আবার পাল্টা অভিযোগ করে দাবি করা হয়, থানার সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করে। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামাতে হয়।