হাসপাতালে তারকেশ্বর।
ঝগড়াটা নেহাতই পাড়াগত। তবে, তার মাসুল যে কান দিয়ে দিতে হবে তা ভাবতে পারেননি তারকেশ্বর পটুয়া। আপাতত ছেঁড়া কানের চিকিৎসায় নার্সিংহোমে শুয়ে তিনি। শনিবার রাতে শ্রীরামপুরের শ্রীকৃষ্ণনগরের ঘটনা। কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। খোঁজা হচ্ছে আর একজনকে।
কিন্তু কাল গেল কী ভাবে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণনগরের নয়াবস্তির বাসিন্দা তারকেশ্বরের সঙ্গে শনিবার রাতে প্রতিবেশী দুই ভাই কুন্দন ও গণেশ রায়ের ঝগড়া বাধে। এক সময় তিনজনেই বন্ধু ছিলেন। তারকেশ্বরের অভিযোগ, ‘তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করেন, তাই তাঁর দেমাক বেড়ে গিয়েছে’ এই কথা তুলে কুন্দন ও তার ভাই গালাগালি দিলে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার মধ্যেই কুন্দন আচমকাই তাঁর ডান কান কামড়ে ধরে। এত জোরে কামড়ে ধরে যে কান ছিঁড়ে রক্ত পড়তে থাকে।’’ যন্ত্রণায় তারকেশ্বর আর্তনাদ করে উঠলে বেগতিক দেখে কুন্দন ও গণেশ পালিয়ে যায়। আহত তারকেশ্বরকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কানে সেলাই করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন চিকিৎসক। পরে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।
রবিবার কুন্দন ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারকেশ্বর। অভিযোগ পেয়ে কুন্দনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গণেশ পলাতক। তার খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, দু’টি পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছিল। তারকেশ্বর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পাওয়ার পর বিবাদ বাড়ে। যদিও কুন্দনের দাবি, তারকেশ্বর তাদের গালাগালি দিলে ঝগড়া বাধে